এক্সপ্লোর
Advertisement
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ঘিরে বিতর্কে রাষ্ট্রপতি ভবনের ক্ষোভ পিএমও-কে
নয়াদিল্লি: জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান ঘিরে সাম্প্রতিক বিতর্কে অসন্তুষ্ট রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মাত্র এক ঘন্টা থাকবেন এবং শুধু ১১ জনকে পুরস্কার দেবেন, বাকিদের নিতে হবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির হাত থেকে, একদিন আগে তাঁদের এ কথা জানানো হয়েছে বলে অভিযোগ করে সেদিনের অনুষ্ঠানে গরহাজির ছিলেন একাধিক 'হতাশ', 'ক্ষুব্ধ'পুরস্কারপ্রাপক।
সরকারি কর্তারা বলছেন, রাষ্ট্রপতির অফিসের অভিমত, এজন্য দায়ী কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রকের পরিচালনা সংক্রান্ত ব্যর্থতা। তারা গোটা বিষয়টা ঠিকমতো সামলাতে পারেনি।
যদিও মন্ত্রক গত বৃহস্পতিবার দাবি করে, বিতর্কের জন্য দায়ী 'মুষ্টিমেয় হতাশাগ্রস্ত লোকজন'।
জনৈক সরকারি অফিসার বিতর্ক হওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে কয়েক সপ্তাহ বাকি থাকতেই তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রককে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, শুধু ১১ জনকে সম্মান দেবেন রাষ্ট্রপতি।
কেন তিনি ১১ জনকেই পুরস্কার দেবেন, প্রশ্ন তুলে সোস্যাল মিডিয়ায় শোরগোল হওয়ার জন্যও তিনি বলেন, মন্ত্রক বিশ্বাসভঙ্গ করেছে। রাষ্ট্রপতির কার্য্যালয় থেকে একেবারে শেষ মূহূর্তে সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে বলে যে ধারণা তৈরি হয়েছে, তা ভুল এবং রাষ্ট্রপতি ভবনের অফিসের মর্যাদাও নষ্ট হয়েছে এতে। গোটা ঘটনাবলীতে রাষ্ট্রপতি বিরক্ত, তা পিএমও-কে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর অফিসের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আরেক সরকারি অফিসার জানান, পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রক ও রাষ্ট্রপতির অফিসের মধ্যে আলোচনা শুরু হয় মার্চে। এপ্রিলের গোড়ায় মন্ত্রককে বলে দেওয়া হয়, রাষ্ট্রপতি মাত্র এক ঘন্টা সময় দিতে পারবেন। মন্ত্রককে সেই প্রাপকদের তালিকাও চূড়ান্ত করতে বলা হয় যাদের রাষ্ট্রপতিকে দিয়ে পুরস্কার দেওয়াতে চায় তারা। ১ মে মন্ত্রকের সচিব এন কে সিনহা রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে তাঁর সেক্রেটারি সঞ্জয় কোঠারির সঙ্গে দেখা করেন রাষ্ট্রপতির অনুষ্ঠানের শিডিউল চূড়ান্ত করতে। মন্ত্রকের তৈরি করা ১১ প্রাপকের তালিকাও তিনি নিয়ে যান। ৩মের অনুষ্ঠানের চূড়ান্ত নির্ঘন্ট নিয়ে আলোচনার পর দুই সেক্রেটারি রাষ্টপতিকে জানাতে যান। সুতরাং মন্ত্রক সব আগে থেকেই জানত।
কিন্তু রাষ্ট্রপতি মাত্র ১১ জনের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন, এ কথা সব প্রাপককে কেন আগে জানানো হয়নি, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রকের তরফে এ ব্যাপারে কোনও জবাব মেলেনি।
গোটা বিতর্কের পর তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী রাষ্ট্রপতির সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন কিনা, তাও জানায়নি তারা।
অনুষ্ঠানের দিনই বিতর্ক প্রকাশ্যে আসতেই রাষ্ট্রপতি ভবনের মুখপাত্র জানান, কোবিন্দ রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর থেকেই প্রটোকল চালু করেছেন যে, সাধারণতন্ত্র দিবস বা ওই ধরনের খুব গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান ছাড়া আর কোথাও তিনি এক ঘন্টার বেশি থাকেন না। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রেও এক ঘন্টা বরাদ্দ করেছেন।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
জেলার
খবর
জেলার
Advertisement