এক্সপ্লোর
Advertisement
৮ বছরের মেয়ে খেয়েছিল অ্যাসিড,বিরল অস্ত্রোপচারের সাহায্যে চিকিত্সকরা দেহে প্রতিস্থাপন করল নতুন খাদ্যনালী
নয়াদিল্লি: আট বছরের নেহা দুর্ঘটনাবশত খেয়ে ফেলেছিল অ্যাসিড। নেহার বাবা-মা জানতেনই না তাঁরা কীভাবে তাঁদের সন্তানকে বাঁচাবেন। নেহার খাদ্যনালী পুড়ে গিয়েছিল। কিন্তু অবশেষে চিকিত্সকদের চেষ্টায় ছোট্ট নেহা ফিরে পেল নতুন খাদ্যনালী। তার দেহে এক বিরল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে স্থাপন করা হল খাদ্যনালী। আবার ছ বছর পর ফের নেহা স্বাভাবিক খাবার খেতে শুরু করেছে।
মাত্র দেড় বছর বয়সে না বুঝে অ্যাসিড খেয়ে ফেলে নেহা। তারপর ছ বছরের দীর্ঘ লড়াই। অবশেষে আমদাবাদের ভদীলাল সরাভাই হাসপাতালে হল সেই বিরল অস্ত্রোপচার। নতুন খাদ্যনালী ফিরে পেয়েছে নেহা।
চিকিত্সক যাঁরা নেহার চিকিত্সা করেছেন, জানিয়েছেন নিজের থুতু পর্যন্ত গিলতে পারত না নেহা। তার পুরো খাদ্যনালীর মাত্র এক সেন্টি মিটার অক্ষত ছিল। তারপর থেকে কৃত্রিম খাদ্যনালীর সাহায্যে নেহাকে শুধু তরল পদার্থ খাওয়ানো হত। গত ছবছর নেহার অন্ত্রের মধ্যে সেই কৃত্রিম খাদ্যনালীই ঢোকানো ছিল।
নেহার বাবা-মা পেশায় দিন মজুর। তাঁরা ছোট্ট নেহাকে নিয়ে একের পর এক হাসপাতাল ছুটে বেরিয়েছেন। কিন্তু ওজন কম হওয়ায় তার ওপর এই বিরল অস্ত্রোপচার করতে রাজিই ছিলেন না কোনও চিকিত্সক। নেহার ওজন ছিল মাত্র ১৯.৫ কেজি।
তবে দুমাস আগে আমদাবাদের এই হাসপাতালে যায় নেহা। গত ৯ মে নেহার ওপর এই বিরল অস্ত্রোপচার করে চিকিত্সকরা। এই অস্ত্রোপচারের নাম ‘গ্যাস্ট্রিক’। টানা পাঁচ ঘ্ণ্টা ধরে চলেছে এই অস্ত্রোপচার। নেহার দেহে পেট থেকে গলা পর্যন্ত আট ইঞ্চি লম্বা একটি ফুটো করা হয়, সেখানেই বসানো হয় নতুন এই খাদ্যনালী। এই অস্ত্রোপচারটি মূলত করেছেন ডক্টর হিমাংশু ভোরা। তাঁর কথায় কম ওজনের শিশুর ওপর এধরনের অস্ত্রোপচার করা বেশ কঠিন।
উত্তরপ্রদেশের মৌ জেলার বাসিন্দা নেহা, গত ১৫ মে থেকে স্বাভাবিক খাবার খাওয়া শুরু করেছে। আজ তাকে খুব সম্ভবত হাতপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
জেলার
জেলার
ব্যবসা-বাণিজ্যের
Advertisement