Parliament Chaos: অম্বেডকর-বিতর্কে সংসদে তুলকালাম। রাহুলের বিরুদ্ধে স্বাধিকারভঙ্গের নোটিস।
ABP Ananda Live: আচ্ছা, আমরা কেন জনপ্রতিনিধিদের ভোট দিয়ে সংসদে পাঠাই? কারণটা কিন্তু খুব স্পষ্ট। তাঁরা আমাদের, মানে সাধারণ মানুষের দাবি-দাওয়া নিয়ে সংসদে কথা বলবেন, দাবি আদায় করে আনবেন বলে। কিন্তু কাল সংসদ চত্বরে আমরা কী দেখলাম! দেখলাম, হাতাহাতিতে জড়িয়েছেন সাংসদরা! বিরোধী সাংসদের কাছে আসা নিয়ে আপত্তি তুলছেন, শাসক দলের মহিলা সাংসদ! বিরোধী শিবিরের প্রবীণ সাংসদ আবার তাঁকে নিগ্রহের অভিযোগ তুলছেন। কে ঠিক, কে ভুল আমরা জানি না। আমরা শুধু বলছি, গণতন্ত্রের পীঠস্থানে ওঠা এইসব অভিযোগগুলো সত্য়ি হলে, তা মারাত্মক! আর মিথ্য়ে হলে, আরও মারাত্মক! দেখুন, সংসদে লজ্জার সেই ছবিগুলো।
অশান্ত বাংলাদেশে এখনও আক্রান্ত হচ্ছে হিন্দুরা। প্রতিদিনই সামনে আসছে কোনও না কোনও ঘটনা। এই প্রেক্ষাপটে একবারে সংসদে দাঁড়িয়ে শিউড়ে ওঠার মতো তথ্য় দিল মোদি সরকার। একটি প্রশ্নের লিখিত উত্তরে বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং জানিয়েছেন, এবছর ৮ ডিসেম্বর অবধি, বাংলাদেশে হিনদু-সহ সংখ্য়ালঘুদের ওপর হামলার ২ হাজার ২০০টি ঘটনা ঘটেছে। পদ্মাপাড়ে হিনদুদের ওপর হামলা নতুন ঘটনা নয়। কিন্তু, এবারের পরিস্থিতি কতটা মারাত্মক, সেটা পরিষ্কার হয়ে যায়, গত কয়েকবছরের পরিসংখ্য়ান পাশাপাশি রাখলেই।
বিদেশ প্রতিমন্ত্রীর লিখিত উত্তরেই দেখা গেছে, ২০২২-এ বাংলাদেশে হিন্দু-সহ সংখ্য়ালঘুদের ওপর হামলা ঘটনা ঘটেছিল ৪৭টি। ২০২৩-এ ৩০২টি। এবার ৮ ডিসেম্বর অবধি সেই সংখ্য়া পৌঁছে গেছে ২ হাজার ২০০-তে। বিদেশ প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য় অনুযায়ী, হিনদু-সহ সংখ্য়ালঘুদের ওপর হামলার ঘটনার নিরিখে পাকিস্তানকেও ছাপিয়ে গেছে বাংলাদেশ। এবছর অক্টোবর অবধি পাকিস্তানে সংখ্য়ালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে ১১২টি। আর বাংলাদেশে ৮ ডিসেম্বর অবধি সেই সংখ্য়াটা ২ হাজার ২০০।