এক্সপ্লোর
Advertisement
কোন কোন দল রোজভ্যালি থেকে সুবিধা নিয়েছে, খতিয়ে দেখছে সিবিআই
কলকাতা: বছরের পর বছর ধরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধেই রোজভ্যালি থেকে সুযোগ সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এখন তদন্তে নেমে সেই সব তথ্যই খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।
রোজভ্যালিকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল সাংসদ তাপস পাল। মঙ্গলবার সিবিআইয়ের কাছে হাজিরা দেওয়ার কথা দলের আরেক সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
নোটকাণ্ডে প্রতিবাদের আবহে সিবিআইয়ের এই তৎপরতা আদতে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে অভিযোগ করছে তৃণমূল।
সিবিআই সূত্রের অবশ্য পাল্টা দাবি, রাজনৈতিক কারণে নয়, যারা অনৈতিক সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন তাঁদের সবার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা হবে।
গোয়েন্দা সূত্রে দাবি, তালিকায় প্রথম নাম এক সাংসদের। যাঁর ব্যবসায় রোজভ্যালি পরোক্ষভাবে টাকা লাগিয়েছে।
তদন্তে আরেক সাংসদেরও নাম উঠে এসেছে, যিনি সাত কোটি টাকার বিনিময়ে দিল্লিতে শীর্ষস্থানীয় নেতা-মন্ত্রীদের কাছে রোজভ্যালির হয়ে তদ্বির করেন বলে অভিযোগ।
সিবিআই সূত্রে দাবি, সম্প্রতি দলবদল করে শিরোনামে আসা এক নেতাও স্ক্যানারে রয়েছেন।অভিযোগ, তিনি বহুবার রোজভ্যালির কাছ থেকে চেক নিয়েছেন।
আরেক দলবদলি নেতা গৌতম কুণ্ডুকে রাজারহাটে জমি কিনতে সাহায্য করেন।
আতসকাচের তলায় রয়েছেন এক প্রাক্তন মন্ত্রী। অভিযোগ, তিনি রোজভ্যালি থেকে প্রচুর সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ২০১১ সালে বিধানসভা ভোটের সময় একটি দলের প্রচারে টাকা ঢালেন রোজভ্যালি কর্ণধার গৌতম কুণ্ডু। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের দায়িত্ব ছিল সেই দলের এক প্রভাবশালী সাংসদের।
বর্তমানে এক মন্ত্রীকেও বিভিন্ন সময়ে গৌতম কুণ্ডুর সঙ্গে বৈঠক করতে দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ।
সিবিআই সূত্রে দাবি, সুযোগ-সুবিধার আশায় রাজনৈতিক নেতাদের আশেপাশে ঘুরঘুর করার প্রবণতা গৌতম কুণ্ডুর দীর্ঘদিনের। তদন্তে উঠে এসেছে, বাম আমলে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ব্যবসা ছড়াতে গৌতম কুণ্ডু সেখানকার এক প্রভাবশালী নেতার সাহায্য নেন।
আরেক নেতাকে তো রোজভ্যালির কর্মী সম্মেলনেও দেখা গিয়েছে।
রোজভ্যালিকাণ্ডে এরাজ্যের পাশাপাশি ত্রিপুরার দিকেও নজর রেখেছেন গোয়েন্দারা।
২০০৮ সালে ত্রিপুরায় রোজভ্যালির একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।
যদিও, এপ্রসঙ্গে মানিক সরকার তখন জানান, যে অনুষ্ঠানের কথা বলা হচ্ছে, সেটা ২০০৮ সালের ঘটনা। সেই সময় আমি জানতাম না, এই সংস্থা মানুষকে প্রতারণা করে টাকা তোলে। জানলে আমি যেতাম না। যখন এটা প্রকাশ পেল, পশ্চিমবঙ্গ, অসম, ত্রিপুরায় এরা মানুষকে প্রতারণা করে টাকা তুলছে, তখন ত্রিপুরা সরকারই প্রথম সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করে।
সিবিআই সূত্রে দাবি, তদন্তে এক অভিনেত্রী এবং দুই ব্যবসায়ীর নামও উঠে এসেছে। আপাতত সমস্ত তথ্যপ্রমাণ ঘেঁটে গোয়েন্দারা চাইছেন এদের ভূমিকা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে। তারপর পরবর্তী পদক্ষেপ।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
খবর
জেলার
জেলার
জেলার
Advertisement