মেঝেয় শুয়ে জেলে প্রথম রাত কাটালেন 'কয়েদি নম্বর ৯২৩৪' শশীকলা
![মেঝেয় শুয়ে জেলে প্রথম রাত কাটালেন 'কয়েদি নম্বর ৯২৩৪' শশীকলা Sasikala Spends Her First Night In Jail Sleeping On Cell Floor মেঝেয় শুয়ে জেলে প্রথম রাত কাটালেন 'কয়েদি নম্বর ৯২৩৪' শশীকলা](https://static.abplive.com/wp-content/uploads/sites/3/2017/02/16174743/sasikala-jail.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
বেঙ্গালুরু: চেয়েছিলেন বিছানা। আবেদন খারিজ হয়ে যায়। ফলে বাধ্য হয়েই শুতে হল মেঝেয়। এভাবেই অন্য আরেক মহিলা কয়েদির সঙ্গে জেলের প্রথম রাত কাটলেন ‘চিন্নাম্মা’ ভি কে শশীকলা, থুড়ি কয়েদি নম্বর ৯২৩৪। আগামী চার বছর, এটিই এআইএডিএমকে নেত্রীর পরিচয়।
আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি মামলায় মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে চারবছর সাজা দেয়। এরপর, বুধবার নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে বেঙ্গালুরুর উপকণ্ঠে পরাপ্পন অগ্রহরা সেন্ট্রাল জেলে পৌঁছন একদা জয়ললিতার ছায়াসঙ্গী শশীকলা।
প্রসঙ্গত, এর আগেও, এই জেলেই থেকেছিলেন তিনি। এই মামলায় নিম্ন আদালত সাজা দেওয়ায় ২০১৫ সালে জয়ললিতা-শশীকলাদের তিন সপ্তাহ এখানে কাটাতে হয়েছিল। তারপর কর্ণাটক হাইকোর্টের রায়ে মুক্তি পেলেও, শেষমেশ নিম্ন আদালতের রায়ে ফের জেলেই ফিরতে হল শশীকলাকে।
গতকাল নিম্ন আদালতে প্রথম শ্রেণির কয়েদির মর্যাদা পাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন শশীকলা। কিন্তু, বিচারক তা খারিজ করে দেন। উল্লেখ্য, প্রথম শ্রেণির কয়েদি হলে অতিরিক্ত সুবিধা পাওয়া যায়।
যেমন – আলাদা থাকার ব্যবস্থা, ধ্যান করার পৃথক জায়গা, প্রয়োজনে ২৪-ঘণ্টা চিকিৎসার ব্যবস্থা। এছাড়া অন্যান্য সুবিধার মধ্যে রয়েছে—টিভি, বাড়ির রান্না আনার অনুমতি এবং সপ্তাহে দুদিন আমিষ খাবারের ব্যবস্থা।
জেলের এক আধিকারিক জানান, তাঁকে বিশেষ কোনও সুযোগ-সুবিধে দেওয়া হচ্ছে না। তবে, তিনি যাতে জেলের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেন, তার জন্য কাউন্সেলিংয়ের বন্দোবস্ত থাকবে।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সকালে তেতুঁল-ভাত ও চাটনি দিয়ে প্রাতঃরাশ করেন শশীকলা। এরপর কিছুক্ষণ ধ্যান করেন। এছাড়া, মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নে বিভোর শশীকলাকে বেঙ্গালুরু সেন্ট্রাল জেলে বসে মোমবাতি বানাতে হবে। দিনে আয় ৫০ টাকা। আর পাঁচজন কয়েদির মতোই তাঁকেও খেতে হবে জেলের খাবার। থাকতে হবে দুই মহিলা কয়েদির সঙ্গে।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)