এক্সপ্লোর
Advertisement
(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
২০১৪-র ভোটে একজনও ছিলেন না, বর্তমান লোকসভায় উত্তরপ্রদেশের একমাত্র নির্বাচিত মুসলিম সাংসদ কৈরানায় জয়ী তবাসুম, বললেন, ২০১৯-এ কোনও প্রভাবই ফেলবেন না মোদী
লখনউ: বিজেপির মৃগাঙ্ক সিংহকে বিপুল ব্যবধানে হারিয়ে কৈরানার উপনির্বাচনে তবাসুম হাসানের জয় বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে এই কারণে যে, ২০১৯-এর সাধারণ নির্বাচনের আগে বিরোধী শিবিরের পাল্লা ভারী তো হলই, পাশাপাশি তিনিই এখন বর্তমান লোকসভায় উত্তরপ্রদেশ থেকে নির্বাচিত একমাত্র মুসলিম সাংসদ। যে রাজ্যে প্রায় ২০ শতাংশ মুসলিম, ২০১৪-র লোকসভা ভোটে সেখান থেকে কোনও মুসলিম সাংসদ নির্বাচিত হননি। সমাজবাদী পার্টি, কংগ্রেস ও বহুজন সমাজ পার্টির সমর্থনপুষ্ট রাষ্ট্রীয় লোকদল (আরএলডি) প্রার্থী তবাসুম সেখানে ব্যতিক্রম।
উত্তরপ্রদেশের ৮০টি লোকসভা আসনের মধ্যে ২০১৪-য় বিজেপি ও তার শরিক আপনা দল পায় ৭৩টি। সপা ও কংগ্রেস যথাক্রমে ৫ ও ২টি আসন পায়।
তবাসুম জয়ের পর বলেন, আমার সাফল্য মানুষের জয় যাঁরা চার বছরের বিজেপি অপশাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন। ইভিএমের সমস্যা না থাকলে আমার জয়ের মার্জিন আরও বাড়ত। আগামী লোকসভা ভোটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কোনও প্রভাবই থাকবে না বলেও দাবি করেন তবাসুম। বলেন, বিজেপির উদ্ধত লোকজন বলে থাকেন, মোদীর কোনও বিকল্প নেই। কিন্তু সর্বশক্তিমান সবসময়ই রাস্তা বের করে দেন। বিরোধী দলগুলির জোট ২০১৯-এ বিজেপির বিরুদ্ধে জিতবে। আমার জয়ে প্রমাণ হল, ২০১৯-এ ঐক্যবদ্ধ বিরোধীদের জয়ের পথ সুগম।
২০০৯-এর লোকসভা ভোটে বিএসপি-র টিকিটে লড়ে রাজনীতিতে নামেন তবাসুম, পরাজিত করেন বিজেপির হুকুম সিংহকে। ২০১৪-য় তাঁর ছেলে নাহিদ হাসান সমাজবাদী পার্টির হয়ে ভোটে লড়ে হুকুম সিংহের কাছে হেরে যান।
কৈরানায় ১৬ লক্ষ ভোটারের মধ্যে ৫ লক্ষ মুসলিম। দলিত ও জাঠ ভোট দু লক্ষ করে। এক লক্ষ গুজ্জর ভোট আছে।
বিজেপি সাংসদ হুকুম সিংহের মৃত্যুতে কৈরানা আসনটি শূন্য হয়। এবার তাঁর মেয়ে মৃগাঙ্ককে প্রার্থী করে বিজেপি। তবে গোরক্ষপুর, ফুলপুরের পর কৈরানাতেও হেরে জোর ধাক্কা খেল তারা।
তবাসুম কৈরানায় জয়ের কারণ ব্যাখ্যা করে বলেন, আমরা বেঁচে থাকায়, অন্যকেও বাঁচতে দেওয়ায় বিশ্বাসী। আমরা সবাইকে সঙ্গে নিয়ে শান্তিতে চলার পক্ষপাতী। তা-ই করে যাব।
বিজেপি প্রার্থী কখনও মানুষের আসল সমস্যা তুলে ধরেননি বলে অভিযোগ করেন তবাসুম। বলেন, ওদের কিছু বলার ছিল না বলেই জিন্নার ছবিকে ইস্যু করে। জিন্না একসময় এখানে ছিলেন। কিন্তু দেশভাগের পর ছবি বদলেছে। ওটা কোনও ইস্যুই নয়। আসল ইস্যু গরিব, চাষিকে নিয়ে, যে ব্যাপারে বিজেপির কিছুই বলার নেই।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
ক্রিকেট
ক্রিকেট
ব্যবসা-বাণিজ্যের
জেলার
Advertisement