যারা উস্কানি দিল, তাদের জন্য লোকে মরল, তারা ফিরেও তাকাল না!
দিল্লি হিংসায় এখনও পর্যন্ত ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
দিল্লি: চোখে এক বিরাট স্বপ্ন নিয়ে দিল্লি এসেছিল উত্তরপ্রদেশের শাহবন। বছর কুড়ির ওই নওজয়ান বড় শহরে এসেছিল একটা নতুন জীবন গড়বে বলে। তবে কে জানত, এই দিল্লিতেই স্বপ্নের সঙ্গে কফিনবন্দি হতে হবে তাকেও? উত্তরপূর্ব দিল্লিতে সিএএ বিরোধী ও সমর্থনকারীদের সংঘর্ষের আবহে নিখোঁজ হয় উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরের বাসিন্দা শাহবন। পরে খোঁজ নিয়ে তার পরিবার জানতে পারে ৪২ জন মৃতের মধ্যে রয়েছে শাহবানও।
পুলিশ শাহবনের দেহ এখনও পরিবারের হাতে তুলে দেয়নি। শাহবনের বাবা সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, কাগজ না দেখালে দেহ ছাড়া হবে না বলে পুলিশ জানিয়েছে।
আরও পড়ুন - ‘আমরা এখন মানুষ নই’, দিল্লি হিংসা নিয়ে সরব মিমি, দেবের ট্যুইট, ‘ঈশ্বর এমনটা চাননি’
পূর্ব দিল্লিতে ঢালাইয়ের একটি দোকানে কাজ করত শাহবন। তার শোকাহত কাকা সংবাদসংস্থাকে বলেন, “দুঃখের বিষয় ছেলেটা কাজের জন্য দিল্লিতে গিয়েছিল কিন্তু জনতা ওকে মেরে ফেলল। কয়েকজন উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে চলে গেল। ফিরেও তাকায়নি। অনেকে ছবি তুলেও পোস্ট করছে। এদের জন্যই বাকিদের মরতে হচ্ছে।”
শাহবানের মা জানিয়েছেন, “মঙ্গল ২টো নাগাদ চিকিৎসার জন্য কারওয়াল নগর হাসপাতালে গিয়েছিল। শাহবনের চোখে আঘাত লেগেছিল। ৩টের সময় যখন ফোন করি, ওর মোবাইল বন্ধ ছিল।”
আরও পড়ুন - ‘আরো হাতে হাত রেখে, বেঁধে বেঁধে থাকা’, হিংসার আগুনেই ফুটল সম্প্রীতির ফুল
গত রবিবার বিকেলে দিল্লির মৌজপুরে সিএএ বিরোধী ও সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সিএএ বিরোদীদের ক্রমাগত আক্রমণ করেন বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র। দিল্লি আদালত বুধবার কপিল মিশ্রকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিলেও এখনও তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি। পুলিশের ওই গড়িমসির কারণে তীব্র ভর্ৎসনাও করেন বিচারপতি এস মুরলীধর। তারপরই তাঁকে বদলি করে দেওয়া। এই ঘটনায় বিজেপি সরকারের তীব্র নিন্দা করে কংগ্রেস। এদিকে বিজেপি এই হিংসা ও আইবি কর্মীর মৃত্যুর জন্য আপ কাউন্সিলর তাহির হুসেনের দিকে আঙুল তোলে। তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হয় এফআইআর।
আরও পড়ুন- ‘মিরাক্যাল বেবি’কে ঘিরে স্বপ্ন শাবানাদের, তলপেটে হামলাবাজদের লাথি, হাসপাতালে সন্তান প্রসব যুবতীর
আপ সুপ্রিমো তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, দলের কেউ হিংসার ঘটনায় জড়িত থাকলে তাঁর ‘দ্বিগুণ শাস্তি’ হবে।