এক্সপ্লোর
Advertisement
ঢুকেছে ১২ জঙ্গি, আরও হামলার সতর্কতা গোয়েন্দাদের
শ্রীনগর: ভোরের আলো ফোটার আগেই উরির সেনা ঘাঁটিতে গ্রেনেড বিস্ফোরণ, গুলিবৃষ্টি। কিছু বুঝে ওঠার আগেই জওয়ানদের মৃত্যু।
কিন্তু কী ভাবে এত বড় হামলা চালানো সম্ভব হল জঙ্গিদের?
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, শনিবার নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতে ঢোকে ১৬ জন জঙ্গি। তিনটি দলে ভাগ হয়ে যায় তারা। প্রথম দলটি পুঞ্চের সেনা ছাউনির দিকে এগোয়। দ্বিতীয় দলটি জম্মু-শ্রীনগর হাইওয়ে, যেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর ক্যাম্প রয়েছে, সে দিকে পা বাড়ায়। তৃতীয় দলটি নিশানা করে উরির সেনা ঘাঁটি।
এই প্রেক্ষাপটে গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, যে কোনও মুহূর্তে কাশ্মীরে ফের হামলা চালাতে পারে জঙ্গিরা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, প্রচুর অস্ত্র ও বিস্ফোরক রয়েছে জঙ্গিদের কাছে। উরির হামলাতেই যার প্রমাণ মিলেছে।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, সেনা ঘাঁটিতে ঢুকেই বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিজেকে উড়িয়ে দেয় এক জঙ্গি। তার জেরেই প্রথমে আগুন লাগে জওয়ানদের তাঁবুতে। এরপর বাকি ৩ জঙ্গি জওয়ানদের লক্ষ করে গুলিবৃষ্টি শুরু করে। সেনার পাল্টা গুলিতে মৃত্যু হয় ৩ জঙ্গির।
কিন্তু কেন হামলার জন্য উরিকেই বেছে নিল জঙ্গিরা? বিশেষজ্ঞদের মতে, এর নেপথ্যে রয়েছে ভৌগলিক অবস্থান। কারণ, উরির সেনা ঘাঁটির খুব কাছেই রয়েছে নিয়ন্ত্রণ রেখা। উরিতে সেনার দু’টি ক্যাম্প রয়েছে। যার মধ্যে হামলা হয়েছে উত্তর ক্যাম্পে। যেটি চারদিক থেকে জঙ্গলে ঘেরা।
এতে জঙ্গিদের সুবিধা। কারণ, হামলার পর জঙ্গলে লুকিয়ে পড়া সহজ। তবে গোয়েন্দারা একটা বিষয়ে নিশ্চিত যে পাক সীমান্ত পেরিয়েই জঙ্গিরা ঢুকেছে। হামলার পিছনে পাক মদতপুষ্ট জইশ-ই-মহম্মদের হাত রয়েছে বলে জানিয়ে দিয়েছে সেনা। পাঠানকোট হামলার নেপথ্যেও ছিল জইশের হাত। সবমিলিয়ে উরিতে হামলার ঘটনায় ফের একবার প্রমাণিত হল পাকিস্তান আছে পাকিস্তানেই।
হিজবুল জঙ্গি বুরহান বানির মৃত্যু পর থেকে উত্তপ্ত কাশ্মীর। সেই অশান্তিতে ঘি ঢালছে পাকিস্তান। জঙ্গির মৃত্যুর পর কালো দিবস পর্যন্ত পালন করেছে পাক সরকার। আর এবারের জঙ্গি হামলাতেও নাম জড়াল সেই পাকিস্তানের।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
ক্রিকেট
জেলার
জেলার
Advertisement