লকডাউনে সিঙাড়া চেয়ে কন্ট্রোলরুমে বারবার ফোন! যুবককে নর্দমা পরিষ্কারের শাস্তি জেলাশাসকের
লকডাউন চলাকালীন অনেক মানুষই পাচ্ছেন না প্রয়োজনীয় সামগ্রী। তাই সাধারণের সাহায্যের জন্য জেলা প্রশাসনের তরফে খোলা হয়েছে হেল্পলাইন, কন্ট্রোলরুম। সেই নম্বরে ফোন করেই ৪টি সিঙাড়া পাঠানোর দাবি জানালেন এক যুবক।
রামপুর: অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ছাড়া লকডাউনে বন্ধ সমস্ত দোকান। চাল- ডাল, তেল-নুন জাতীয় অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের তালিকায় পড়ে না সিঙাড়া। আর তাই স্বাভাবিক ভাবেই বাজারে মিলছে না তা। অতএব, জেলা প্রশাসকের কন্ট্রোলরুমে ফোন করে সিঙাড়া চেয়ে পাঠালেন যুবক!
ঘটনাস্থল উত্তরপ্রদেশের রামপুর। লকডাউন চলাকালীন অনেক মানুষই পাচ্ছেন না প্রয়োজনীয় সামগ্রী। তাই সাধারণের সাহায্যের জন্য জেলা প্রশাসনের তরফে খোলা হয়েছে হেল্পলাইন, কন্ট্রোলরুম। সেই নম্বরে ফোন করেই ৪টি সিঙাড়া পাঠানোর দাবি জানালেন এক যুবক।
একাধিকবার বারণ ও সতর্ক করার পরেও কথা শোনেননি ওই যুবক। বারবার ফোন করে ৪টি সিঙাড়া পাঠানোর কথা বলে বিরক্ত করে তোলেন সরকারী কর্মীদের। করোনা আবহে এইরকম উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন সবাই।
বিব্রত হয়ে ঘটনাটি জানানো হয় জেলা প্রশাসককে। সব শুনে ওই ছেলেটিকে ৪টি সিঙাড়া পাঠানোর নির্দেশ দেন তিনি। কিন্তু ঘটনার শেষ হয় না এখানে। ৪টি সিঙাড়ার সঙ্গে ওই যুবককে একটি লিখিত নির্দেশ পাঠান জেলাশাসক। লকডাউনের মতো জরুরি সময়ে কর্মীদের বিরক্ত করার শাস্তি হিসাবে নর্দমা পরিষ্কারের নির্দেশ দেওয়া হয় তাকে। নির্দেশ মানতে বাধ্য হন যুবক।
ট্যুইটারে ওই যুবকের নর্দমা পরিষ্কারের ছবি শেয়ার করেন জেলাপ্রশাসক। অপর একটি টুইট করে তিনি লেখেন, 'প্রশাসনের কাজে বাধা সৃষ্টি করেছিল। তাই এখন নর্দমা পরিষ্কার করে প্রশাসনকে সাহায্য করছে।'
পরবর্তীকালে এইভাবে কেউ জরুরি অবস্থায় বিনা কারণে প্রশাসনকে বিব্রত করলে তাকে এমন কড়া শাস্তি দেওয়ার নির্দেশ দেন প্রশাসক।