এক্সপ্লোর
Advertisement
কাশ্মীরে অনুপ্রবেশ রুখে মরণোত্তর সম্মান পেল ‘মানসি’, তার হ্যান্ডলার
নয়াদিল্লি: গত বছর কাশ্মীরের তাংধরে সন্ত্রাসবাদীদের গুলিতে প্রাণ দিয়ে তাদের অনুপ্রবেশের চেষ্টা ব্যর্থ করে দেয় দুজনে। চার বছরের ল্যাব্রাডর ‘মানসি’ আর তার হ্যান্ডলার বসির আহমেদ ওয়ার। দেশরক্ষায় চরম বলিদান করায় সেনাবাহিনীর ট্র্যাকার ডগ ইউনিটের সদস্য মানসি-কে গতকাল ‘মেনশন অব ডেসপ্যাচেস’ শংসাপত্র দিয়ে মরনণোত্তর সম্মান অর্পণ করা হয়েছে। তার নাম উঠবে গেজেট অব ইন্ডিয়ায়। সম্ভবত মরনোত্তর খ্যাতির জন্য বাছাই হওয়া প্রথম সারমেয় মানসি-ই। কুপওয়ারার বাসিন্দা বসিরকে দেশের জন্য লড়ে জীবন দেওয়ার পুরস্কার হিসাবে সেনা মেডেল দেওয়া হয়েছে।
গত বছর দারুণ সাফল্য পায় দুজনে। তাংধর সেক্টরে পাক-অধিকৃত কাশ্মীর থেকে জঙ্গিদের ঢোকার চেষ্টা রুখে দিয়ে গুলিতে প্রাণ হারায় ১৬০ টেরিটরিয়াল আর্মির এই দুজন। তাদের ঘন জঙ্গলে পাঠানো হয়েছিল। মানসি জঙ্গিদের গতিবিধি টের পেয়ে বসিরকে পাহাড়ি ঘন জঙ্গলের দিকে পথনির্দেশ করে নিয়ে যায়। ট্র্যাকার ইউনিটে ঢোকার পর থেকেই মানসির দেখভাল করেছে বসির। তাই অনুপ্রবেশকারী জঙ্গিদের গুলিতে সে জখম হতেই ক্রুদ্ধ বসির ঘটনাস্থলে বাহিনী পাঠানোর খবর দেওয়ার পাশাপাশি এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। তবে মৃত্যুতেও ওদের বন্ধন অটুট থাকে। মানসি, বসির, দুজনেই মারা যায়। তবে বাহিনী এসে জঙ্গিদেরও খতম করে। মানসিকে ময়না তদন্তের পর শায়িত রাখা হয় ট্রেহগামে ওর ইউনিট লাইনসে।
এক সেনা অফিসার বলেছেন, ভারতীয় সেনাবাহিনীর রীতি অনুসারে যুদ্ধক্ষেত্রে একজন জওয়ান জখম হলে যেভাবে ঝাঁপিয়ে পড়তে হয়, কোনও সারমেয় জখম হলেও একই দ্রুততার সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এক্ষেত্রে তো কুকুরটি ও তার হ্যান্ডলার, দুজনকেই আমরা হারিয়েছি।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
খবর
জেলার
খবর
Advertisement