আমরা তো আমিষ খাই না, তা বলে কি দুর্বল? প্রশ্ন যোগীর
লখনউ: দলীয় বৈঠকে নিরামিষ আহারের জোর সওয়াল করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
বুধবার লখনউয়ে রাজ্য বিজেপির ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের উদ্বোধন করতে গিয়ে আদিত্যনাথ জানান, তিনি এবং তাঁর মন্ত্রিসভার বহু সদস্যই নিরামিশাষী। অথচ, কারও চাইতে তাঁরা দুর্বল নন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা সম্পূর্ণ নিরামিশাষী। এমন কী আমরা পেঁয়াজ ও রসুনও খাই না। তাই বলে কি আমদের কর্মশক্তি কারও চাইতে কম? আদিত্যনাথের এই মন্তব্যে সভায় তুমুল করতালি পড়ে।
আদিত্যনাথ যোগ করেন, তাঁর রাজ্যের (নিরামিশাষী) মন্ত্রীরা সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কাজ করেন। কোনও ব্যক্তি দুর্বল হলে, কী এতটা কাজ করতে পারবেন।
সম্প্রতি, উত্তরপ্রদেশে অবৈধ কসাইখানা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে যোগী আদিত্যনাথ প্রশাসন। এরপর থেকেই রাজ্যে মাংসের আকাল দেখা দেওয়া নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
অভিযোগ উঠেছে, এই সিদ্ধান্তের ফলে রাজ্যে সস্তায় স্বাস্থকর খাবার মিলছে না। সেই প্রেক্ষিতে আদিত্যনাথের এদিনের মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এদিন নিজের প্রসঙ্গ দিয়ে বক্তব্য শুরু করেন আদিত্যনাথ। বলেন, যখন আমাকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করা হল, তখন সারা বিশ্বে অনেকেই মনে মনে ভাবতে শুরু করেছিলেন, এ কোন ‘নমুনা’-কে মোদী গদিতে বসালেন!
আদিত্যনাথ যোগ করেন, এখন যখন তাঁর হাতে শাসনভার তুলে দেওয়া হয়েছে, তখন তাঁর দায়িত্বও বহুগুণ বেড়ে গিয়েছে। তাঁর মতে, দলীয় নেতা-কর্মীদেরও আগের তুলনায় আরও বেশি দায়িত্ববান হতে হবে।
দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এবার থেকে নেতাদের জন্য ফুলের তোড়া আনার রেওয়াজ বন্ধ করুন। তাঁর ঘোষণা, খুব শীঘ্রই সব মন্ত্রী রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ঘুরে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করবেন। সেইসময় নেতা-মন্ত্রীদের ফুলের তোড়া না দিয়ে এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব তুলে নিন।