নজরে চিন, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়াতে বৃহস্পতিবার কথা হবে মোদী, অ্যাবের
নয়াদিল্লি: চিনকে নজরে রেখে জাপানের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতাকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বুধবারই, দুদিনে সফরে ভারতে এসেছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে। আগামীকাল গাঁধীনগরে দ্বাদশ ভারত-জাপান বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দেবেন মোদী এবং অ্যাবে। সেখানে, অর্থনৈতিক, বাণিজ্য, বিনিয়োগের পাশাপাশি গুরুত্ব পাবে প্রতিরক্ষার বিষয়টিও।
সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরেই জাপানের থেকে ‘ইউএস-২ শিনমায়া’ উভচর বিমান কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে ভারত। এই নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। সম্প্রতি, টোকিওতে দুদেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বৈঠকেও উঠে আসে এই প্রসঙ্গটি।
কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, এই সফরেই সম্ভবত ভারতকে এই বিমান দিতে সম্মত হতে পারে জাপান। এর পাশাপাশি, যৌথভাবে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদন এবং দুদেশের নৌসেনার মধ্যে আরও সুদৃঢ় সম্পর্ক স্থাপনের ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ভারতের মতোই, চিনের সঙ্গে সংঘাত রয়েছে জাপানের। দক্ষিণ ও পূর্ব চিন সাগরে বেজিংয়ের একাধিপত্য নিয়ে প্রায়ই হুঁশিয়ারি দিয়ে এসেছে জাপান। সম্প্রতি, ডোকালাম ইস্যুতেও ভারতের অবস্থানকেই সমর্থন করেছে জাপান।
ভারতকে ‘ইউএস-২ শিনমায়া’ বিমান নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল চিন। বেজিংয়ের অভিযোগ, জাপান অনৈতিকভাবে কম দামে ভারতকে সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি করছে।
প্রতিরক্ষার পাশাপাশি, অসামরিক পরমাণু ক্ষেত্রেও অনেকটা অগ্রগতি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। গত বছরের নভেম্বর মাসে দুদেশের মধ্যে ঐতিহাসিক অসামরিক পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষরিত করা হয়। গত জুলাই মাসে তা কার্যকর হয়।
চলতি সফরে, সেই বিষয়ে আরও এগিয়ে যাওয়ার প্রয়াস করা হবে বলে সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, বিদ্যুৎ-ক্ষেত্রের বাইরেও অন্যান্য অসামরিক খাতে পরমাণু শক্তির ব্যবহার নিয়ে ভারত ও জাপান সহযোগিতা বাড়াতে পারে।
আগামীকাল আমদাবাদে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বৈঠক হবে। সেই বৈঠকে দু দেশের পরমাণু সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
গত সপ্তাহে বিদেশসচিব এস জয়শঙ্কর বলেছিলেন, ভারতের পরমাণু ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য বদল আনতে পারে জাপান। সরকারি সূত্রের মতে, পরমাণু ঔষধ, গবেষণা ও আনবিক ক্ষেত্রে উন্নয়নে দু দেশের সহযোগিতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে চুক্তি হতে পারে।