Pune Murder Case: প্রকাশ্য রাস্তায় মহিলা সহকর্মীকে কুপিয়ে খুন করলেন যুবক, দেখেও চুপ রইলেন সবাই
Pune Murder: পুনের একটি বহুজাতিক বিপিও অফিসে অ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করতেন ২৮ বছরের এক মহিলা। পুরুষ সহকর্মীর হাতে খুন হন তিনি। মঙ্গলবার বিকেলেই ঘটেছে এই ঘটনা।
পুনে: পুনের একটি বহুজাতিক বিপিও অফিসে অ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করতেন ২৮ বছরের এক মহিলা। পুরুষ সহকর্মীর হাতে খুন হন তিনি। মঙ্গলবার পুনের ইয়েরাওয়াড়া এলাকায় সেই বিপিও অফিসের পার্কিং লটে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মহিলাকে (Pune Murder Case) কুপিয়ে খুন করেন যুবক। সেই হামলায় গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন মহিলা, কিন্তু সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
মঙ্গলবার সন্ধে ৬টা ১৫ নাগাদ ইয়েরাওয়েড়ার সেই বিপিও অফিসের পার্কিং লটে ঘটেছে এই ঘটনা। মৃতার নাম পুলিশসূত্রে (Pune Murder Case) জানা গিয়েছে শুভদা শঙ্কর কোদারে, বয়স ২৮, কাটরাজ অঞ্চলের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। আততায়ীর নাম জানা গিয়েছে কৃষ্ণ সত্যনারায়ণ কানোজা, বয়স ৩০, শিবাজীনগরের বাসিন্দা ছিলেন তিনি।
আমাদের প্রাথমিক তথ্য থেকে জানা যায়, আততায়ী এবং মৃতা দুজনেই একই বিপিও অফিসে কাজ করতেন। সংস্থার নাম ডব্লিউএনএস গ্লোবাল। পারস্পরিক বিরোধের জেরেই এই খুন হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সেই যুবক ধারালো অস্ত্র দিয়ে সেই মহিলার উপর চড়াও হয়েছিলেন। যুবক কৃষ্ণ কানোজা হাত থেকে সেই অস্ত্র মাটিতে ফেলে দেওয়ার পরেই আশেপাশের মানুষ তাঁকে চেপে ধরে এবং পুলিশের কাছে নিয়ে যায়। সেই সময় কনুইতে গুরুতর আঘাত পেয়েছিলেন সেই মহিলা। এমনটাই জানিয়েছেন ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ হিম্মত যাদব।
ডিসিপি যাদব জানিয়েছেন, 'সেই মহিলাকে তড়িঘড়ি একটি নিকটবর্তী বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেদিন রাতে তিনি চিকিৎসা চলাকালীনই জখমের কারণে মারা যান। সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, সেই মহিলাকে কিছু টাকা দিয়েছিলেন এই যুবক, কিন্তু মহিলা তা ফেরত দেননি। জানা গিয়েছে, বাবার অসুস্থতার নাম করে সেই টাকা নিয়েছিলেন শুভদা, কিন্তু বহুবার চাওয়ার পরেও যুবককে ফেরত দিচ্ছিলেন না। আরও তদন্ত চলছে বিস্তারিত ঘটনা জানার জন্য। ইয়েরাওয়েড়া থানায় মঙ্গলবার গভীর রাতে এফআইআর দায়ের করা হয় এই যুবকের বিরুদ্ধে।'
সংবাদসূত্রে জানা গিয়েছে, সেই মহিলা শুভদা আহত হওয়ার পরেই তাঁর বাবাকে ফোন করে সমস্ত ঘটনা জানিয়েছিলেন। অন্যদিকে কৃষ্ণ কানোজাও শুভদার বাবাকে ফোন করে আবারও ধার নেওয়া টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য বলেন।