করসেবকদের বিরুদ্ধে বাবরি-ধ্বংস মামলা প্রত্যাহার সহ একাধিক দাবি নিয়ে মোদি, অমিতকে চিঠি হিন্দু মহাসভার
গত ১২ নভেম্বর বিজেপির তিন শীর্ষস্থানীয় নেতাকে চিঠি পাঠান হিন্দু মহাসভার সর্বভারতীয় সভাপতি স্বামী চক্রপানি।
নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টে অযোধ্যা-মামলা নিষ্পত্তির ৭২-ঘণ্টা পরই বাবরি মসজিদ ধ্বংসকাণ্ডে করসেবকদের বিরুদ্ধে চলা একাধিক মামলার প্রত্যাহার দাবি করে প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিল হিন্দু মহাসভা। চিঠি পাঠানো হয়েছে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকেও। একইসঙ্গে, ১৯৯২ সালে নিহত করসেবকদের ‘শহিদ’ ঘোষণা করার দাবিও তুলেছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনটি। গত ১২ নভেম্বর বিজেপির তিন শীর্ষস্থানীয় নেতাকে চিঠি পাঠান হিন্দু মহাসভার সর্বভারতীয় সভাপতি স্বামী চক্রপানি। তাতে বলা হয়েছে, এখন যখন পরিষ্কার করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, রামলাল্লা অযোধ্যার অ-বিতর্কিত মন্দির এলাকা, ফলত একইসঙ্গে এ-ও পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে যে মসজিদের মাথার চূড়া আদতে মন্দিরের চূড়া। তাই, বলা যেতে পারে, বাবরি মসজিদ ধ্বংস করার জন্য করসেবকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল, আদতে তারা না জেনে মন্দিরের চূড়াই ভেঙেছিলেন। ফলত, আমি সরকারের কাছে অনুরোধ করছি, করসেবকদের বিরুদ্ধে চলা সব মামলা প্রত্যাহার করে বিষয়টির নিষ্পত্তি করা হোক। পাশাপাশি, ১৯৯২ সালে এবং অন্যান্য সময়ে বিভিন্ন জায়গায় নিহত করদেবকদের ‘শহিদ’-এর মর্যাদা দেওয়ার দাবিও তোলেন চক্রপানি। লিবারহান কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর, প্রায় ৫ হাজার করসেবক বাবরি মসজিদের চূড়া ভেঙে দেন। তার আগে, ১৯৯০ সালের ৩০ অক্টোবর, অযোধ্যায় তৎকালীন বিতর্কিতস্থলের কাছে করসেবকদের ওপর গুলিচালনার ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। মহাসভার দাবি, নিহত করসেবকদের নাম ফলকে খোদাই করে রাম-মন্দিরে লাগাতে হবে। এখানেই শেষ নয়। চিঠিতে বলা হয়েছে, রামমন্দির নির্মাণে অংশ নিতে চলা সকল ব্যক্তিকে ‘ধর্মীয় সেনা’ হিসেবে উল্লেখ করতে হবে এবং মাসোহারার ব্যবস্থা করে দিতে হবে। প্রসঙ্গত, শনিবারই বহু দশক-প্রাচীন অযোধ্যা-মামলার রায় দেয় শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ জানায়, অযোধ্যার বিতর্কিত জমি রামলালার। সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে অযোধ্যায় অধিগৃহীত জমিতেই ৫ একর জমি দেওয়া হোক। ট্রাস্ট গঠন করে তিনমাসের মধ্যে সরকারকে মন্দির তৈরির পরিকল্পনা চূড়ান্ত করার নির্দেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত।