কাশ্মীরে অশান্তি বাড়াতে এবার সিরিয়া থেকে দস্যু পাঠাচ্ছে পাকিস্তানের ‘বন্ধু’ তুরস্ক!
বে ভারতে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ইসলামি বিশ্বে সৌদি আরবের আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ জানাতে এরডোগানের দক্ষিণ এশিয়ার মুসলিমদের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করার জন্য পরিকল্পনার অঙ্গ বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
নয়াদিল্লি: পাকিস্তানের ভারত-বিদ্বেষ অব্যাহত। এবার তুরস্কের সাহায্য নিয়ে কাশ্মীরে অশান্তি বাড়ানোর চেষ্টা করছে ইমরান খানের দেশ। পেন্টাপোস্টাগামায় জনৈক গ্রিক সাংবাদিক ‘এরডোগান সেন্ডস মার্সিনারিজ টু কাশ্মীর’ শীর্ষক প্রতিবেদনে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেসেপ তাইয়েপ এরডোগানের পরিকল্পনার বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেছেন তিনি।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তান তুরস্কের সাহায্য নিয়ে কাশ্মীরে অশান্তি করার ষড়যন্ত্র করছে। সন্ত্রাস ছড়িয়ে দিতে কাশ্মীরে পূর্ব সিরিয়ার দস্যুদের পাঠানোর পরিকল্পনা চলছে। তবে ভারতে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ইসলামি বিশ্বে সৌদি আরবের আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ জানাতে এরডোগানের দক্ষিণ এশিয়ার মুসলিমদের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করার জন্য পরিকল্পনার অঙ্গ বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। দিল্লিতে সংবাদমাধ্যমকে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত আকির ওজান টর্নুলার বলেছেন যে এই খবর ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা। সাম্প্রতিককালে একাধিকবার বন্ধু পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে কাশ্মীর ইস্য়ুর আন্তর্জাতিকীকরণে তুরস্কের প্রয়াস ব্যর্থ হয়েছে। তারপরই এভাবে কলকাঠি নাড়তে চলেছে তারা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আঙ্কারা ও ইসলামাবাদ তুরস্কের ‘শিল্ড অব দি মেডিটারেনিয়ান অপারেশনে’ জোট বেঁধেছে। এরডোগানের প্ল্যান, গ্রিসের জমি গ্রাস করা। সেজন্যই এই অপারেশন। দুদেশ স্থায়ী ভাবে পাকিস্তান প্রতিরক্ষামন্ত্রকের পদাতিক বাহিনী ও বিমান মোতায়েনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তুরস্ক কারাবাখের পর সিরিয়ায় তার গ্যাংদের পাকিস্তানে ভারতের বিরুদ্ধে লড়তে পাঠানোর জন্য তৈরি করছে। স্থানীয় সূত্র উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়া ন্যাশনাল আর্মিতে যোগদানকারী সুলেইমান শাহ ব্রিগেডের প্রধান আবু এমসা আফরিনে দিনকয়েক আগে বাহিনীর সদস্যদের বলেছে, তুরস্ক কাশ্মীরকে শক্তিশালী করতে চায়। এমসা জানিয়েছে, সিরিয়া ন্যাশনাল আর্মি বাহিনীর অন্য গোষ্ঠীর কমান্ডারদের তুরস্কের অফিসাররা জানাতে বলবেন, কারা কাশ্মীর যেতে আগ্রহী। যারা কাশ্মীরে যাবে, তাদের ২ হাজার ডলার করে দেওয়া হবে। স্থানীয় সূত্রে খবর, এজাজ, গেরাব্লাস, বাপ, আরফিন, ইদবিলের মতো জায়গায় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালিয়েছে তারা।