এক্সপ্লোর
Advertisement
করোনা বিরোধী লড়াইয়ে প্রথম সারির যোদ্ধাদের লিজিয়ঁ দ’নর মাক্রঁর দেশে
জার্নাল অফিসিয়ালে বলা হয়েছে, করোনা আবহে অন্যান্য দেশের মতো ফ্রান্সও কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে জরুরি অবস্থার মধ্যে রয়েছে। অনেকেই তাঁদের কাজের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
প্যারিস: করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রথম সারির যোদ্ধাদের সম্মান জানাল ফ্রান্স সরকার। প্রায় ১০০ জনকে লিজিয়ঁ দ’নর দেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। সরকারি মুখপত্র জার্নাল অফিসিয়ালে এই খবর জানানো হয়েছে। নিজ নিজ ক্ষেত্রে সাফল্যের জন্য সব মিলিয়ে হাজারের বেশি ফ্রান্সবাসীকে সম্মান জানিয়েছে প্রশাসন। বিজ্ঞান, খেলা, সংস্কৃতি, প্রযুক্তি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্যের জন্য এই সম্মান দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ফ্রান্স সমাজ জীবনে বিভিন্ন কৃতীদের সম্মান দিয়ে থাকে। যেমন পেয়েছেন বিশ্ব বরেণ্য চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায় এবং সদ্য প্রয়াত অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।
জার্নাল অফিসিয়ালে বলা হয়েছে, করোনা আবহে অন্যান্য দেশের মতো ফ্রান্সও কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে জরুরি অবস্থার মধ্যে রয়েছে। অনেকেই তাঁদের কাজের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। স্বেচ্ছাসেবকরাও এগিয়ে এসেছেন। অতিমারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ৬৩ শতাংশ মানুষ অংশগ্রহণ করেছেন। ফ্রান্সে নোভেল করোনাভাইরাস মোকাবিলায় যে শয়ে শয়ে অভিবাসী স্বাস্থ্যকর্মী হিসাবে সামনের সারিতে থেকে কাজ করেছেন, তাঁদের অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছিল এমান্যুয়েল মাক্রঁর সরকারের। উল্লেখ্য, ১৮০২ সালে ফ্রান্সের সেনাপ্রধান নেপোলিয়ান লিজিয়ঁ দ'নর সম্মান দেওয়া শুরু করে।
ফ্রান্সের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রক কোভিড-১৯ মোকাবিলার প্রয়াসে সাহায্য় করা অন্য দেশ থেকে আসা লোকজনকে দ্রুত নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করার আমন্ত্রণ জানিয়েছে। ইতিমধ্যেই ৭০০-র বেশি লোক নাগরিকত্ব পেয়েছেন বা পাওয়ার মুখে। এঁদের মধ্যে পেশাদার স্বাস্থ্যকর্মী, সাফাইকর্মী, দোকানের কর্মচারী আছেন। ফ্রান্সের নাগরিকত্ব সংক্রান্ত জুনিয়র মন্ত্রীর দপ্তর প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য-সেবা কর্মী, ঝাড়ুদার-সাফাইকর্মী, বাচ্চাদের দেখাশোনা করা কর্মী, স্টোরের ক্লার্ক-এরা সকলেই দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা প্রমাণ করেছেন। এবার সেই লক্ষ্যে পদক্ষেপ করার দায়িত্ব দেশেরই।
২০১৭-য় ফ্রান্সে অভিবাসনের মাধ্যমে আসা মানুষ ছিল ৬৪ লক্ষ, যাঁদের একটা উল্লেখযোগ্য় অংশ উত্তর ও পশ্চিম আফ্রিকা সহ প্রাক্তন ফরাসি উপনিবেশগুলির লোকজন। কিন্তু নাগরিক হওয়ার প্রক্রিয়াটি দীর্ঘ। স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় নাগরিকত্ব পাওয়া লোকজনের সংখ্যা কমছে। ২০১৮-র চেয়ে ১০ শতাংশ কমেছে ২০১৯-এ। সাহসিকতা, দেশের প্রতি অবদানকে নাগরিকত্ব প্রদান করে স্বীকৃতি দেওয়া ফ্রান্সে নতুন ব্যাপার নয়। ২০১৮-য় মালির এক ব্য়ক্তি, মামোদাও গাসামাকে ফরাসি নাগরিকত্ব দেওয়া হয় সাহসিকতার জন্য।প্য়ারিসের একটি বাড়ির ব্যালকনি থেকে ঝুলতে থাকা একটি শিশুকে উদ্ধার করে স্পাইডারম্যান খ্যাতি পেয়েছিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, সেপ্টেম্বরে প্রথম ফ্রান্স দ্রুত নাগরিকত্ব দেওয়ার উদ্যোগ ঘোষণা করে। ফ্রান্স যখন করোনাভাইরাস অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলা করছে, তখন সরকার আঞ্চলিক অফিসারদের বলেছে, কোভিড-১৯ অতিমারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যে বিদেশিরা সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন, তাঁদের চলতি প্রক্রিয়ায় নাগরিকত্ব দেওয়ায় দ্রুত পদক্ষেপ করতে হবে। গত ৩ মাসে ৭০-এর বেশি আবেদনকারী তাঁদের কাজের মাধ্যমে নাগরিকত্ব পেয়েছেন এবং প্রায় ৭০০ জন নাগরিকত্ব প্রাপ্তির চূড়ান্ত স্তরে আছেন। মোট ২৮৯০ জন এপর্যন্ত আবেদন করেছেন।
একজন কোনও আবেদনকারীকে ৫ বছর ফ্রান্সের বাসিন্দা হতে হয়। যাঁর ভদ্রস্থ উপার্জন আছে, যিনি ফরাসি সমাজে অন্তর্ভুক্তির পরিচয় দিয়েছেন এই দিয়ে বিচার হয় যোগ্যতার মাপকাঠি। কিন্তু ফ্রান্স সরকার ঠিক করেছে, সামনের সারির কোভিড-১৯ যোদ্ধা অভিবাসীদের সেবার স্বীকৃতি হিসাবে, নাগরিকত্ব পেতে গেলে মাত্র দু বছর সেদেশে বসবাস করলেই চলবে।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
ব্যবসা-বাণিজ্যের
ক্রিকেট
জেলার
Advertisement