PM Modi Meeting : মোদির বাড়িতে ম্যারাথন বৈঠক, আলোচনায় ডোভাল, রাজনাথ, তিন বাহিনীর প্রধান
Indita Pakistan Tension : জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালও যোগ দিয়েছেন এই বৈঠকে।

নয়াদিল্লি : দু’দেশের DGMO-দের বৈঠকের আগে জরুরি বৈঠকে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠকে যোগ দিয়েছেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান, তিন বাহিনীর প্রধানও। বৈঠকে রয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালও যোগ দিয়েছেন এই বৈঠকে।
সোমবারই ভারত-পাক সংঘর্ষবিরতি শুরু হওয়ার পর প্রথমবার দুই দেশের DGMO স্তরের বৈঠক হতে চলেছে । বেলা ১২টা নাগাদ এই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বৈঠকটির নতুন সময় স্থির হয়েছে বিকেল ৫ টায়। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই জারি থাকবে বলে বৈঠকের আগেই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছে ভারত। এবার ভবিষ্যতে ভারত-পাক আলোচনা হতে পারে পাক অধিকৃত কাশ্মীর ফেরত পাওয়া নিয়ে, গতকালই তা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে ভারত।
রবিবারও প্রতিরক্ষামন্ত্রী, বিদেশমন্ত্রী, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, CDS ও তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন নরেন্দ্র মোদি । সেখানে তিনি জঙ্গিদের মাটিতে মিশিয়ে দেওয়ার বার্তা দেন। এ নিয়ে রবিবার সকালেই সেনার তরফে পোস্ট করে বলা হয়, ১০ ও ১১ মে রাতের মধ্যে সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘনের পর সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী দেশের পশ্চিমাংশের বর্ডারের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় খতিয়ে দেখেন। এরপর যদি কোনও হামলা হয়, তাহলে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য পূর্ণ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে কমান্ডারদের।
সোমবার দিনটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, সংঘর্ষবিরতি শুরু হওয়ার পর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আজ প্রথম মুখোমুখি হচ্ছে ২ দেশের DGMO। ২ দেশের DGMO-র বৈঠকের আগে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রীকে নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। বিদেশসচিব, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ, তিন বাহিনীর প্রধানও সেখানে ছিলেন। ও-দেশকে এই পরিস্থিতিতে কী বার্তা দেওয়া হবে, তা ঠিক হয়ে থাকতে পারে এই হাইপ্রোফাইল মিটিংয়ে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সংঘর্ষবিরতির পর রবিবার টানা ‘শান্ত’ রাত কাটিয়েছে জম্মু কাশ্মীরে। নিয়ন্ত্রণরেখা ও আন্তর্জাতিক সীমান্তে শোনা যায়নি গুলির শব্দ। সীমান্তের ওপার থেকে উড়ে আসেনি গোলা, গুলি, শেল। রবিবার কাশ্মীর উপত্যকায় কোনও ব্ল্যাকআউটও হয়নি। সোমবার পর্যন্ত সব স্কুল-কলেজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। এখন অপেক্ষা DGMO পর্যায়ের বৈঠকের পর কী হয়। পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হওয়ার পথেই তি এগোবে উপত্যকা ? সেফ হাউস থেকে নিজের বাড়ি কি ফিরতে পারবেন কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ ? সীমান্তে এখনও কড়া প্রহরা। সেনার তরফে রবিবারের রাতকে ‘গত কয়েক দিনে প্রথম শান্ত রাত’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।






















