Pariksha Pe Charcha programme: কঠিন প্রশ্ন আগে বেছে নাও, ‘মোদি মন্ত্র’ পড়ুয়াদের জানালেন প্রধানমন্ত্রী
পড়ুয়াদের ভয় না পাওয়ার বার্তা দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি
নয়াদিল্লি: গত এক বছরের বেশি সময় ধরে করোনার গ্রাসে গোটা পৃখিবী। আর এই আবহে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে শিক্ষা ব্যবস্থা। বর্তমান পরিস্থিতিতে পড়ুয়া, শিক্ষক, অভিভাবকদের সঙ্গে পরীক্ষা পে চর্চা অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই অনুষ্ঠানে পড়ুয়াদের উদ্দেশে তিনি বলেন, কঠিন প্রশ্ন আগে বেছে নাও। কঠিন প্রশ্নের সমস্যার সমাধান করলেই উন্নতি সম্ভব। একইসঙ্গে ভয় না পাওয়ার বার্তাও দিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, পরীক্ষাকে অনেকেই জীবন-মরণ ভাবে। সফল ব্যক্তি সব বিষয়ে পারদর্শী হন না। লতা মঙ্গেশকরের তুলনা টেনে বললেন মোদি। কঠিন বিষয়ের মোকাবিলা করলেই সাফল্য। তোমাদের মনে অহেতুক ভয়। ভয় না পেয়ে চাপমুক্ত জীবন কাটাও। তিনি বলেন, কাজের বাবা মায়ের সঙ্গে সন্তানের দূরত্ব বাড়ছে।
এই অনুষ্ঠানে এদিন অংশগ্রহণ করেন সিবিএসই পরীক্ষার্থীরাও। পরীক্ষা পে চর্চার প্রথম পর্যায়ের অনুষ্ঠানে মোদি বলেন, গত এক ছর ধরে করোনার সঙ্গে লড়াই করছি আমরা। তাই নতুন পদ্ধতিতে তোমাদের সবার সঙ্গে কথা বলছি। তোমাদের সামনে থেকে না দেখে এবং মুখোমুখি কথা না বলতে পারে আমার কাছে একটা বড় ক্ষতি।
এদিন পড়ুয়ারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চান, কীভাবে পরীক্ষার ভীতি কাটাবে। তাদের প্রশ্নেরক উত্তরে মোদি বলেন, পরীক্ষায় ভয় না পেয়ে মানুষকে দেখে অনুপ্রাণিত হও। তিনি আরও বলেন, তোমরা পরীক্ষা সম্পর্কে আগে থেকেই জেনে যাও। হঠাৎ করেই পরীক্ষা চলে আসে না। পরীক্ষাই সেই সময় সব, সেই আবহ তৈরি হয়েই যায়। স্কুল , অভিভাবক, আত্মীয় সহ প্রত্যেকে কোনও পরীক্ষার আগে একটা আবহ তৈরি করে দেন। বাবা মা এবং আত্মীয়দের পড়ুয়াদের অপর চাপ সৃষ্টি না করার আর্জি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
সাফল্যের চাবিকাঠি হিসেবে একটি মন্ত্রের কথাও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। গতকালই কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক জানিয়েছিলেন, প্রায় লক্ষাধিক পড়ুয়া প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এই আলোচনায় যোগ দেবেন। একইসঙ্গে তাঁকে প্রশ্ন করবেন। তিনি জানান, ১৪ লক্ষ জন এই পরীক্ষা পে চর্চায় অংশ নেবেন বলে রেজিস্ট্রার করবেন। যার মধ্যে আছে ১০.৫ লক্ষ পড়ুয়া, ২.৬ লক্ষ শিক্ষক এবং ৯২ হাজার অভিভাবক।