Chinmay Krishna Das : জামিন পেলেন না বাংলাদেশের হিন্দু সন্ন্যাসী, রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের বিচারবিভাগীয় হেফাজত
Chinmay Krishna Das : পুলিশ চিন্ময় দাসের রিমান্ড না চাওয়ায়, আদালত ইসকনের পুরোহিতকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছে।
ঢাকা : ঢাকা বিমানবন্দর থেকে সোমবার ইস্কনের সন্ন্যাসী কৃষ্ণদাস প্রভু ওরফে চিন্ময় কৃষ্ণদাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতার করে বাংলাদেশ পুলিশ। তার পর তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় কোনও অজ্ঞাত স্থানে। তারপর থেকেই সংখ্যালঘু হিন্দুদের প্রতিবাদে মুখর হয়েছে রাজপথ। প্রতিবাদীদের উপর আক্রমণের খবরও মিলেছে। এই আবহেই মঙ্গলবার চট্টগ্রামের আদালতে হিন্দু সন্ন্যাসীকে পেশ করল বাংলাদেশ পুলিশ।
রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় বাংলাদেশি হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে। মঙ্গলবার তাঁর জামিনের আবেদন করা হয় আদালতে। সূত্র, তাঁর হয়ে কোর্টে দাঁড়ান অর্ধশতাধইক উকিল। কিন্তু আবেদনে কান দিল না আদালত। জামিন না-মঞ্জুর করা হল চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন মেজিস্ট্রেট আদালতে। পুলিশ চিন্ময় দাসের রিমান্ড না চাওয়ায়, আদালত ইসকনের পুরোহিতকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছে। আদালতের নির্দেশ তিনি বন্দি থাকাকালীন যেন সমস্ত ধর্মীয় সুযোগ-সুবিধা পান।
ইতিমধ্যেই প্রতিবাদে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম-সহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারি নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ইসকনও। তাদের তরফে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপের আর্জি জানানো হয়েছে। ভিত্তিহীন অভিযোগ, চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে মুক্তি দিক বাংলাদেশ সরকার, দাবি ইসকনের।
গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে একটি সমাবেশে গেরুয়া ধ্বজ উত্তোলন করে বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ। সেই সমাবেশে বক্তা ছিলেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভু। সেই সমাবেশে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার উপরে নাকি রাখা হয় গৈরিক পতাকাকে, অভিযোগ করে বাংলাদেশীদের একাংশ । দেশের পতাকার অবমাননার অভিযোগ তুলে চট্টগ্রামে ওই সমাবেশের সঙ্গে যুক্ত ১৮ বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা হয়। মামলাকারী বিএনপি নেতা ফিরোজ খানের চিন্ময় দাসের নামও। সেই মামলাতেই ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হল হিন্দু সন্ন্যাসীকে।
তাঁকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময়, চিন্ময় প্রভু সংবাদমাধ্যমকে বলেন, হিন্দুদের যেন তাঁদের পরিকল্পিত আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যান। সোমবার তাঁর গ্রেফতারির পর থেকেই, ঢাকা এবং দেশের অন্যান্য স্থানে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে অশান্তিও বাঁধে। বাংলাদেশের পুণ্ডরিক ধামের সভাপতি চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে বাংলাদেশে গেরুয়া পতাকা উত্তোলনের জন্য রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। এই একই অভিযোগে অভিযুক্ত আরও ১৮ জন সংখ্যালঘু হিন্দু। কৃষ্ণ দাস প্রভ বা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের লড়াইয়ের অন্যতম মুখ। বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতন জাগরণ জোটের একজন সদস্য। হাসিনা সরকারের পতনের পর সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের তীব্র প্রতিবাদ করেন। সংখ্যালঘুদের ঢাল হয়ে দাঁড়ান।
আরও পড়ুন :