Five years of demonetisation: কালো টাকা-দুর্নীতি এখনও কেন রয়েছে দেশে? মোদি সরকারকে খোঁচা কংগ্রেস-তৃণমূলের
Demonetisation: যে উদ্দেশ্যে এই কাজ , তা এখনও ফলপ্রসূ হয়নি ভারতে, নোট বাতিলে ৫ বছরে দাঁড়িয়ে এমনটাই দাবি কংগ্রেস, তৃণমূলের।
নয়া দিল্লি: নোটবন্দির (Demonetisation) পঞ্চম বার্ষিকীতে ফের বিরোধীদের তোপের মুখে মোদি সরকার (Modi Govt)। ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর যখন দেশজুড়ে ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তখন চতুর্দিকে হয়রানি চিত্র। ব্যাঙ্ক (Bank)-এটিএম (ATM)-এ বিশৃঙ্খলা। কিন্তু যে উদ্দেশ্যে এই কাজ , তা এখনও ফলপ্রসূ হয়নি ভারতে, নোট বাতিলে ৫ বছরে দাঁড়িয়ে এমনটাই দাবি কংগ্রেস (Congress), তৃণমূলের (TMC)।
বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী (Priyanka Gandhi) সোমবার টুইট (Tweet)) করে চলেছেন, “বিমুদ্রাকরণ যদি সফল হয় তবে কেন দুর্নীতি শেষ হল না দেশে? কালো টাকা ফেরত আসেনি কেন? অর্থনীতি ক্যাশলেস হল না কেন? কেন সন্ত্রাস বন্ধ হল না? মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না কেন?"
চুপ থাকেনি তৃণমূলও। ঘাসফুল শিবিরের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন ৮ নভেম্বর দিনটিকে 'কালো দিন' হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ২০১৬ সালের কিছু টুইটের স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন। যেখানে মমতা সরব হয়েছিলেন মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে। ডেরেকের দাবি, বিজেপি সরকারের নোটবন্দির সিদ্ধান্তকে কঠোরতম জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কী হতে চলেছে আগামী দিনে সেদিকেও ইঙ্গিত করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
প্রসঙ্গত, নোটবন্দির সিদ্ধান্তকে 'আর্থিক বিশৃঙ্খলা এবং বিপর্যয়' আখ্যা দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ১৬ নভেম্বর ২০১৬-তে রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদও জানিয়েছিলেন।
২০১৬-র ৮ নভেম্বর নোটবাতিলের ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তারপর পাঁচ বছর কেটে গিয়েছে। এরইমধ্যে বাজারে নগদের যোগান বেড়েই চলেছে। তবে এরইমধ্যে ধীর গতিতে এলেও ডিজিটাল লেনদেনও বাড়ছে। এখন আগের তুলনায় আগের তুলনায় অনেক বেশি মানুষ ক্যাশলেস লেনদেনকে বেছে নিয়েছেন।তবে নগদের ব্যবহার কমেনি। এমনই খবর সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের।
নোট বাতিলের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল, নগদের ঢালাও ব্যবহার বন্ধ করে ডিজিটাল লেনদেনে গুরুত্ব আরোপ করা। কিন্তু নগদের ব্যবহার কমেনি। বিশেষ করে, গত অর্থ বছরে নগদের পরিমাণ বেড়েছে। করোনা বিপর্যয়ের কারণে স্বাভাবিক জনজীবন ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বিভিন্নভাবে ব্যাহত হওয়ার পর সাধারণ মানুষের মধ্যে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে নগদ রাখার প্রবণতা দেখা দিয়েছে।