Priyanka on PM Modi: পর্যটক প্রধানমন্ত্রীর কৃষকদের সঙ্গে দেখা করার সময় নেই, মোদিকে কটাক্ষ প্রিয়ঙ্কার
Priyanka on PM Modi: প্রিয়ঙ্কা বলেন, ‘‘আমাদের পর্যটক প্রধানমন্ত্রী গোটা বিশ্ব চষে বেড়াচ্ছেন। অথচ দিল্লিতে নিজের বাসভবন থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে গিয়ে আন্দোলনকারী কৃষকদের সঙ্গে দেখা করার সময় হয়নি।’’
জয়পুর: বিদেশে ছুটি কাটাতে যাওয়া নিয়ে এত দিন দাদা রাহুল গাঁধীকে (Rahul Gandhi) ‘পর্যটক রাজনীতিক’ বলে কটাক্ষ করে এসেছে বিজেপি। এ বার সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Narendra Modi) ‘পর্যটক প্রধানমন্ত্রী’ বলে পাল্টা কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা (Priyanka Gandhi Vadra)। প্রিয়ঙ্কার যুক্তি, বিশ্বের সর্বত্র ঘুরে বেড়ালেও, আন্দোলনকারী কৃষকদের সঙ্গে দেখা করেত যাওয়ার সময় হয়নি মোদির। এমন সরকার যিনি চালান, তাঁকে ‘পর্যটক প্রধানমন্ত্রী’ই বলা উচিত।
মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে রবিবার রাজস্থানের (Rajasthan) জয়পুরে কংগ্রেসের বিরাট সমাবেশে যোগ দেন প্রিয়ঙ্কা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত, কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী (Sonia Gandhi) এবং দলের সাংসদ রাহুল গাঁধীও উপস্থিত ছিলেন সেখানে। তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা করতে গিয়ে প্রিয়ঙ্কা বলেন, ‘‘আমাদের পর্যটক প্রধানমন্ত্রী গোটা বিশ্ব চষে বেড়াচ্ছেন। অথচ দিল্লিতে নিজের বাসভবন থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে গিয়ে আন্দোলনকারী কৃষকদের সঙ্গে দেখা করার সময় হয়নি তাঁর। এমন সরকারের হাতে এখন দেশ চলছে।’’
উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) কংগ্রেসের লাগাম সামলাচ্ছেন প্রিয়ঙ্কা। সামনেই সেখানে বিধানসভা নির্বাচন। কিন্তু ক্ষমতাসীন যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) সরকার শুধুমাত্র বিজ্ঞাপনে টাকা উড়িয়ে চলেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। প্রিয়ঙ্কা বলেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশে বিজ্ঞাপনের পিছনে কোটি কোটি টাকা ঢালা হচ্ছে। অথচ কৃষকদের জন্য এক পয়সাও খরচ করছে না সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারও মানুষের কল্যাণ চায় না। শুধুমাত্র হাতেগোনা কিছু শিল্পপতির জন্য কাজ করছে সরকার।’’
গত সাত বছরে কেন্দ্রীয় সরকার কোনও কাজ করেনি, শুধুমাত্র বিভ্রান্তি এবং ধর্মীয় বিভাজন তৈরি করে গিয়েছে বলেও এ দিন অভিযোগ করেন প্রিয়ঙ্কা। জানিয়ে দেন, সরকারের বিরুদ্ধে এই লড়াই যেমন সাধারণ মানুষের, তেমনই এই লড়াই তাঁর এবং রাহুলেরও।
প্রিয়ঙ্কার মতে, মূল্যবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি, এ সব সরকারের দায়। সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে। অথচ কোনও হেলদোল নেই সরকারের। তাই সাধারণ মানুষকেই এগিয়ে আসতে হবে। প্রশ্ন করতে হবে সরকারকে। কারণ প্রশ্ন করার অধিকার সকলের।