Rahul Gandhi: 'সাভারকর ও গডসে পরস্পরের আত্মীয়, দুই পরিবারের মধ্যে রক্তের সম্পর্ক', মানহানি মামলায় চাঞ্চল্য়কর দাবি রাহুলের
Satyaki Savarkar: রাহুলের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা দায়ের করেছিলেন সাভারকরের প্রপৌত্র সাত্যকি সাভারকর।

নয়াদিল্লি: হিন্দুত্ববাদী নেতা বিনায়ক দামোদর সাভারকর এবং মহাত্মা গাঁধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসের মধ্যে পারিবারিক সম্পর্ক ছিল বলে আদালতে দাবি করলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী। রাহুলের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা দায়ের করেছিলেন বিনায়ক সাভারকরের প্রপৌত্র (ভাইয়ের পৌত্র) সাত্যকি সাভারকর। তার জবাবে যে হলফনামা জমা দিয়েছেন রাহুল, তাতে তিনি জানিয়েছেন, জেনেশুনে গডসেদের সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক আড়াল করছেন সাত্যকি। (Rahul Gandhi)
২০২৩ সালের মার্চ মাসে লন্ডনের একটি আলোচনায় সাভারকরকে নিয়ে কিছু মন্তব্য করেন রাহুল। জানান, বন্ধুদের সঙ্গে মিলে এক মুসলিম ব্যক্তিকে হেনস্থা করার পর আনন্দিত বোধ করার কথা লিখে গিয়েছেন সাভারকর। রাহুলের ওই মন্তব্যের জেরে আদালতে রাহুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা ঠোকেন সাত্যকি। সেই নিয়ে আইনি টানাপোড়েনের মধ্যেই পুণের MP-MLA কোর্টে হলফনামা জমা দিয়েছেন রাহুল। আর তাতে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন তিনি। (Satyaki Savarkar)
রাহুল জানিয়েছেন, বিনায়ক সাভারকর এবং নাথুরাম গডসে পরস্পরের আত্মীয় ছিলেন। পারিবারিক সম্পর্ক ছিল তাঁদের মধ্যে, যা আড়াল করছেন সাত্যকি। রাহুের দাবি, মায়ের দিক থেকে গডসে পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে সাত্যকির। সাত্যকি জানিয়েছেন, তিনি সাভারকরের ভাই নারায়ণ সাভারকরের প্রপৌত্র। কিন্তু মায়ের দিকের পরিচয় লুকিয়ে গিয়েছেন তিনি। (Vinayak Damodar Savarkar)
সাভারকর এবং গডসে পরিবারের মধ্যে সংযোগ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে রাহুল আরও জানিয়েছেন, সাত্যকির মা হিমানি অশোক সাভারকরের জন্ম ১৯৪৭ সালের ৩১ মার্চ। তিনি ২০১৫ সালের ১১ অক্টোবর পুণেতে মারা যান। হিমানির বাবা গোপাল বিনায়ক গডসে। গোপাল হলেন নাথুরাম গডসের ছোট ভাই। সেই নাথুরাম গডসেই ১৯৪৮ সালের ১৫ নভেম্বর মহাত্মা গাঁধীকে হত্যা করেন। সহযোগী নারায়ণ আপ্টের সঙ্গে ১৯৪৯ সালের ১৫ নভেম্বর ফাঁসি হয় নাথুরাম গডসের। (Nathuram Godse)
হলফনামায় রাহুল জানিয়েছেন, সাত্যকির মা হিমানি নিজে হিন্দুত্ববাদী ছিলেন। বিনায়ক সাভারকরের ভাইপোকে বিয়ে করেন তিনি। মহাত্মা গাঁধী হত্যা মামলায় বিনায়ক সাভারকরও যে অভিযুক্ত ছিলেন, পরে মুক্তি পেয়ে যান, তা-ও আদালতে তুলে ধরেছেন রাহুল। এমনকি সাত্যকির দাদু গোপাল গডসে যে মহাত্মা গাঁধী হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন, তাও পরিষ্কার ভাষায় তুলে ধরেছেন তিনি। এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলি সাত্যকি আড়াল করছেন বলে জানিয়েছেন। রাহুল জানিয়েছেন, আদালতে যদি সত্য় আড়াল করেন কেউ, তাঁদের রেহাই পাওয়া উচিত নয়। এর সঙ্গে আদালতের মর্যাদার প্রশ্নও জড়িয়ে রয়েছে।
রাহুল লিখেছেন, ‘আদালতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন করা অত্যন্ত গুরুতর বিষয়, যা জালিয়াতি হিসেবে বিবেচিত হয়। এর ফলে মামলা খারিজ হতে পারে, স্বস্তি না মিলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন করার অর্থ ইচ্ছাকৃত ভাবে মামলাটিকে ভুল ভাবে তুলে ধরা। সাভারকর এবং গডসে পরিবারের মধ্যে রক্তের সম্পর্ক রয়েছে। তাদের পারস্পরিক ইতিহাস, অবদানই দেশের সামনে তাদের ভাবমূর্তি নির্ধারণ করবে’।


















