(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
World News:' ভারতের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ', চিনা ভেসেলকে নোঙরে এখনই অনুমতি নয় শ্রীলঙ্কার
Sri Lanka Refuses Chinese Ship To Dock:গত কাল অর্থাৎ সোমবার শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রী, আলি সবরি জানান, ভারতের 'নিরাপত্তার বিষয়টি' তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
নয়াদিল্লি: কে 'বন্ধু' আর কার সঙ্গে দূরত্ব, তা এবার আরও খানিকটা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিল শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। চিনা 'ভেসেল'-কে (Chinese Ship) নোঙর না করতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে পরোক্ষে একটি বার্তা তারা দিয়েই রেখেছিল। তার উপর, গত কাল অর্থাৎ সোমবার শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রী, আলি সবরি জানান, ভারতের 'নিরাপত্তার বিষয়টি' (Indian Security Concern) তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। সূত্রের খবর, মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড-ও শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ওই চিনা ভেসেলের নোঙর করা নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়েছিলেন। সবটা মিলিয়েই কি এই সিদ্ধান্ত?
কী জানা গেল?
'শি ইয়ান ৬' নামে ভেসেলটির অক্টোবরে শ্রীলঙ্কায় নোঙর করার কথা। দ্বীপরাষ্ট্রের 'ন্যাশনাল অ্যাকোয়াটিক রিসোর্সেস রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট এজেন্সি'-র সঙ্গে যৌথ ভাবে অভিযানে সামিল হওয়ার কথা রয়েছে 'শি ইয়ান ৬'-এর। তাতে সমস্যা কোথায়? সংবাদসংস্থা এএনআই-কে শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রী বলেন, 'বেশ কিছুটা সময় ধরেই বিষয়টি নিয়ে কথাবার্তা চলছে। ভারত নিজের উদ্বেগের কথাও জানিয়েছে। কিন্তু আমরা একটা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর বা এসওপি তৈরি করেছি। ভারত-সহ আমাদের একাধিক বন্ধুরাষ্ট্রের সঙ্গে ওই এসওপি তৈরির সময় কথা বলা হয়। এই এসওপি মেনে ভেসেল নোঙর করলে আমাদের সমস্যা নেই। না মানলে সমস্যা রয়েছে।' তবে আলোচনার সময় যে চিনকে বাদ রাখা হয়নি, সেটাও মোটামুটি স্পষ্ট। আপাতত যা খবর, তাতে এখনও পর্যন্ত অক্টোবরে 'শি ইয়ান ৬'-কে যে নোঙর করার অনুমতি দেওয়া হয়নি, সেটাও জানান সবরি। তবে আলোচনা চলছে। সবরির কথায়, 'ভারতের নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগ, যা কিনা অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত, আমাদের কাছেও গুরুত্বপূর্ণ। এ কথা আমরা আগেও বলেছি কারণ এই এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে চাইছি।' শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংঙ্ঘেও জানান, বিদেশি ভেসেলের জন্য এসওপি তৈরি করা হয়েছে।
গত বছর, 'Yuan Wang-5' নামে চিনের যে গুপ্তচর ভেসেল শ্রীলঙ্কায় নোঙর করেছিল তা নিয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর স্পষ্ট বলেছিলেন, 'আমাদের আশপাশে যা ঘটছে, বিশেষত তার সঙ্গে যদি আমাদের নিরাপত্তার বিষয়টি জড়িয়ে থাকে তা হলে নিশ্চয়ই সেটা নিয়ে আমাদের মাথা ঘামাতে হবে।'
প্রেক্ষাপট...
দ্বীপরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি যখন টালমাটাল, জ্বালানি থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য--সব কিছুরই দাম আকাশছোঁয়া, তখন সাহায্যের হাত বাড়িয়েছিল ভারত। তার আগে, দু'দশকে অবশ্য কূটনৈতিক এবং অর্থনৈতিক, দুটি ক্ষেত্রেই শ্রীলঙ্কায় ড্রাগনের প্রভাবের লাগাতার বাড়তে দেখা যায়। তবে ড্রাগনের এই ক্রমবর্ধমান প্রভাবের পরিণতি টের পায় শ্রীলঙ্কা। ২০১৭ সালে গভীর-জলের হাম্বানটোটা বন্দর চিনের হাতে তুলে দিতে কার্যত বাধ্য হয় তারা। লক্ষণীয় বিষয় এর ঠিক দু বছর আগেই, ২০১৫ সালে, মৈত্রীপালা সিরিসেনার কাছে হঠাৎ হারতে হয়েছিল মাহিন্দা রাজাপক্ষেকে। ঘটনার মোড় ভারতকে আরও এক বার তার সঙ্গে শ্রীলঙ্কার সম্পর্ক ঝালাই করে নেওয়ার সুযোগ দেয়। কিন্তু পাঁচ বছর পরে, ফের বদলে যায় ছবিটা। তবে তীব্র আর্থিক সঙ্কট আবার নাগরদোলায় চাপায় শ্রীলঙ্কাকে। গণরোষের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হন রাজাপক্ষে ভাইয়েরা। এমন সময়ে সিংহলীদের পাশে দাঁড়ায় ভারত।
আরও পড়ুন:খালিস্তানপন্থী সংগঠনের সদস্য করণবীর সিংহের নামে রেড কর্নার নোটিস জারি ইন্টারপোলের