পাহাড়ে অ্যাওয়ার্ড ওয়াপসি! পুরস্কার ফিরিয়ে পৃথক রাজ্যের দাবি চার বিশিষ্ট নাগরিকের
দার্জিলিং: এবার পাহাড়েও অ্যাওয়ার্ড ওয়াপসি! রাজ্য সরকারের দেওয়া পুরস্কার ফিরিয়ে, আন্দোলনে নৈতিক সমর্থন জানালেন পাহাড়ের চার বিশিষ্ট ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার পানিঘাটায় কবি ভানুভক্তের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন গৌতম দেব। এদিকে, ভানুভক্তর ২০৩তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে, ম্যালে সমন্বয় কমিটির উদ্যোগে ‘গোর্খা একতা দিবস’ পালিত হয়। সেখানেই রাজ্যের দেওয়া পুরস্কার ফিরিয়ে আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দেন, নেপালি সাহিত্যিক কৃষ্ণ সিংহোমোকতান, সঙ্গীতশিল্পী কর্মা ইয়ানজন, কার্শিয়ং কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ প্রভাত প্রধান এবং নবরত্ন প্রধান। সাহিত্যিক কৃষ্ণ সিংহোমোকতান ২০০৪ সালে ভানুভক্ত স্মৃতি পুরস্কার এবং ২০১৪ সালে বঙ্গরত্ন পুরস্কার পেয়েছিলেন। ২০১৬ সালে সঙ্গীত সম্মান পুরস্কার পান কর্মা ইয়ানজন। ২০১৫ সালে শিক্ষারত্ন সম্মানে ভূষিত হন প্রভাত প্রধান। ওই বছরে একই সম্মান পান কালিম্পংয়ের নবরত্ন প্রধান। রাজ্য সরকারের অবশ্য দাবি, মোর্চার লাগাতার চাপ ও হুমকির জেরেই এই পুরষ্কার প্রত্যাখ্যান। সেইসঙ্গে খোঁচাও দিয়েছেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। বলেন, ভয়ের জন্য করেছে। কিন্তু এক লক্ষ টাকা ফেরত দিয়েছে কী? পুরস্কার-প্রত্যাখ্যান প্রশ্নে অবশ্য সমন্বয় কমিটির মধ্যেই মতানৈক্য তৈরি হয়েছে। পৃথক রাজ্যের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলনে সামিল হলেও, প্রতিবাদের এই ভাষায় যে তাদের সায় নেই, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে গোর্খা লিগ। দলের নেতা লক্ষ্মণ প্রসাদ বলেন, আমরা এটাকে সমর্থন করি না। গোর্খ্যাল্যান্ডের দাবিতে শনিবার থেকে ম্যালে পাহাড়ের রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বর আমরণ অনশনে বসার কথা ছিল। এদিন সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক কল্যাণ দেওয়ান জানিয়েছেন, কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হওয়ায়, আপাতত এই কর্মসূচি স্থগিত রাখা হচ্ছে। রাজ্য সরকারও বারবার বুঝিয়ে দিয়েছে, আন্দোলনকারীরা হিংসার পথ থেকে সরে এলে তারা আলোচনায় রাজি। যদিও রাজ্যের সঙ্গে আলাদা করে কোনও বৈঠকে রাজি নয় মোর্চা।