![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
Alapan Banerjee: ‘আপনার স্বামীকে কেউ বাঁচাতে পারবে না’, আলাপনের স্ত্রীকে হুমকি দিয়ে চিঠি
হুমকি-চিঠির ব্যাপারে জানার পরেই তৎপর রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
![Alapan Banerjee: ‘আপনার স্বামীকে কেউ বাঁচাতে পারবে না’, আলাপনের স্ত্রীকে হুমকি দিয়ে চিঠি alapan banerjee wife of alapan banerjee gets death threat, govt arranges security, police starts probe Alapan Banerjee: ‘আপনার স্বামীকে কেউ বাঁচাতে পারবে না’, আলাপনের স্ত্রীকে হুমকি দিয়ে চিঠি](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2021/10/27/1f3a460a741b54ee5e0c9f3a32a26d0d_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে খুনের হুমকি। চিঠিটি এসেছে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে। সূত্রের খবর, আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীকে হুমকি-চিঠিতে বলা হয়েছে, তাঁর স্বামীকে কেউ বাঁচাতে পারবে না। হুমকি-চিঠির ব্যাপারে জানার পরেই তৎপর রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। হুমকি চিঠির ব্যাপারেও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। এই ঘটনায় ১৭০ অর্থাৎ সরকারি আধিকারিকের ভুয়ো পরিচয়, ৫০০ অর্থাৎ মানহানি, ৫০৬ অর্থাৎ হুমকি এবং ৪১৯ অর্থাৎ ভুয়ো পরিচয়ে প্রতারণা, ভারতীয় দণ্ডবিধির এই চারটি ধারায় হেয়ার স্ট্রিট থানায় মামলা রুজু হয়েছে।
উল্লেখ্য, সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালের প্রিন্সিপাল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব।
গত ২৮ মে প্রধানমন্ত্রীর পর্যালোচনা মিটিংয়ে উপস্থিত না থাকার কারণে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিসিপ্লিনারি প্রসিডিং শুরু হয়। ডিসিপ্লিনারি প্রসিডিং শুরু করে কর্মীবর্গ দফতর। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে ক্যাটের কলকাতা বেঞ্চের দ্বারস্থ হন আলাপন। মামলা কলকাতা থেকে দিল্লিতে সরাতে সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালে আবেদন করে কর্মীবর্গ দফতর। ২২ অক্টোবর মামলা দিল্লিতে সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
কলাইকুণ্ডায় প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে বিরত থাকার অভিযোগে শো-কজ করা হয়েছিল আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ৩১ মে ছিল আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের চাকরির শেষ দিন। সেদিনই তাঁকে দিল্লিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরিতে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দিল্লি না গিয়ে সেদিনই অবসর নেন এই আমলা। রাজ্য সরকার তাঁর কর্মজীবনের মেয়াদ তিন মাস বাড়ানোর কথা জানালেও, শেষপর্যন্ত আর বাড়তি সময় চাকরি না করারই সিদ্ধান্ত নেন আলাপন।
কিন্তু এখানেই শেষ নয়। এরপর জুন মাসে আরও একবার কেন্দ্রের রোষের মুখে পড়েন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে চিঠি দিয়ে কেন্দ্রীয় কর্মিবর্গ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চিঠিতে জানানো হয়েছে, নিয়ে আলাপনের কোনও বক্তব্য থাকলে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে তা জানাতে হবে। তাছাড়াও জানানো হয়েছে, কেন তাঁর বিরুদ্ধে মেজর পেনাল্টি প্রসিডিং নয়, তা তাঁকে জানাতে হবে। এই ৩০ দিনের মধ্যে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সামনাসামনি গিয়েও জানাতে পারেন, কেন তাঁকে শাস্তি দেওয়া উচিত নয়। এ ছাড়া লিখিতভাবেও নিজের বক্তব্য জানাতে পারেন আলাপন।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)