মুখ্যমন্ত্রীর পোষা মোটা বেড়ালরা গণতন্ত্রকে কামড়াতে বেরিয়ে পড়েছে, নাম না করে অনুব্রতকে কটাক্ষ সূর্যকান্তর
UPDATES:
# অনুব্রত মণ্ডলের মন্তব্যকে তীব্র কটাক্ষ করলেন সূর্যকান্ত মিশ্র। নাম না করে অনুব্রতকে আক্রমণ করে বিরোধী দলনেতা ট্যুইট করে বলেছেন, শুধুমাত্র আব্দুল মান্নান কিংবা বিকাশ ভট্টাচার্য নন, আজ গণতন্ত্রই বিপন্ন। মুখ্যমন্ত্রীর পোষা মোটা বেড়ালরা তাকে কামড়াতে বেরিয়ে পড়েছে। হাতের কাছে যা পাবেন, তাই দিয়ে রান্নাঘর সামলান।
https://twitter.com/mishra_surjya/status/930801770124656640বীরভূম: রাস্তার মাঝে পুলিশের ব্যারিকেড। বাধা ঠেলে এগোনোর চেষ্টা করছেন সিপিএম নেতা বিকাশ ভট্টাচার্য! অনড় পুলিশও। পুলিশ-বিকাশে টানাটানি, কথা কাটাকাটি। এভাবেই প্রায় দেড়ঘণ্টার চাপানউতোর! আর সব শেষে পরিচিত ঢঙে অনুব্রত মণ্ডলের হুমকি। প্রথমে পুলিশকে, পরে বিকাশ ভট্টাচার্যদের। বীরভূমের বোলপুরের শিবপুর মৌজায় বিশ্ব বাংলা বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্ব বাংলা হাট ও গীতাঞ্জলী আবাসন প্রকল্পের জন্য ২০০ একরেরও বেশি জমি অধিগ্রহণ করছে রাজ্য। কিন্তু, ওই জমিতে শিল্পের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন কৃষকদের একাংশ। যা ঘিরে বুধবার সকালে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা।
বোলপুরে কৃষকসভার পথে বিকাশ, মান্নানকে আটকাল পুলিশ, ‘এলে হাত-পা ভেঙে দেব’, হুমকি অনুব্রতর
তৃণমূল কর্মীদের গাড়ি ও বাইক ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে। দুপুরে লাঠি-বাঁশ নিয়ে জমায়েত করে দু’পক্ষ। ঠিক সেই সময় অনিচ্ছুক কৃষকদের সভায় যোগ দিতে বোলপুরের জিলিপি মোড়ে পৌঁছন সিপিএম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য ও বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। তাঁদের গাড়ি আটকে দেয় পুলিশ।
গাড়ি থেকে নেমে পুলিশের কাছে কৈফিয়ত চান বিকাশ-মান্নান। এলাকার আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে বলে পাল্টা যুক্তি দেয় পুলিশও! কোনও অবস্থাতেই বিকাশ ভট্টাচার্যদের গ্রামে ঢুকতে দেয়নি পুলিশ। দেড়ঘণ্টা পরে তাঁরা ফিরে যান।
এরপরই আসরে নামেন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশকে সময়সীমা বেধে দিয়ে নির্দেশ দেন, আন্দোলনকারীদের গ্রেফতার করতে হবে। ডিএসপিকে সময়সীমা বেঁধে অনুব্রত বলেন, বিকেল ৪.১৫ থেকে ৩ ঘণ্টা সময় দিলাম। রাত ৯টার মধ্যে ঢুকে যাব। একজনেরও বাড়ি-ঘর রাখব না, চুরমার করে দেব। যে তাণ্ডব লীলা খেলে দেব, ভয়ঙ্কর খেলে দেব। গ্রেফতার করুন, না হলে বাড়ি-ঘর ভেঙে জ্বালিয়ে দেব।
পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছেন বিকাশ ভট্টাচার্যও। আইনজীবী তথা সিপিএম নেতা বলেন, গুন্ডা দিয়ে সাময়িক ভয় পাইয়ে দেওয়া যায়, প্ররোচনামূলক মন্তব্য, এদের উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়া দরকার। আবারও আসব। গুন্ডা দিয়ে ভয় পাইয়ে দেওয়া যাবে না।
সবমিলিয়ে জমি জটে উত্তপ্ত বোলপুর।