Bankura: নিজেদের এলাকায় পাচ্ছেন না, ভ্যাকসিন নিতে লম্বা লাইন কাঞ্চনপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে
বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন ব্লকের মানুষ আসছেন ভ্যাকসিনের জন্য...
পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: ভোর থেকে লম্বা লাইন ভ্যাকসিন বাঁকুড়া ২ নম্বর ব্লকের কাঞ্চনপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র এলাকায়।
বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন ব্লকের মানুষ আসছেন ভ্যাকসিনের জন্য। ভ্যাকসিন নিতে আসা সাধারণ মানুষের দাবি, তাঁরা নিজেদের এলাকার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভ্যাকসিন না পাওয়ার কারণে কাঞ্চনপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসছেন।
ভ্যাকসিন নিতে সেই কারণে লম্বা লাইন দাঁড়িয়ে তাঁদেরকে ভ্যাকসিন নিতে হচ্ছে। এমনই একজন হলেন পেশা গাড়িচালক মোহাম্মদ মামুনুল ইসলাম।
তিনি বলেন, গাড়ি নিয়ে আমাকে বিভিন্ন জায়গায়া যেতে হয়। সে কারণে আমার এলাকায় আমি ভ্যাকসিন নিতে যাই। তাঁর অভিযোগ, বাঁকুড়ার এক নম্বর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দু-তিনদিন লম্বা লাইনে দাঁড়িয়েও কিন্তু ভ্যাকসিন পাননি তিনি। সেই কারণে কাঞ্চনপুর এসে সকাল থেকে লাইন দেওয়ার পর ভ্যাকসিন নেন।
গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের অমর কানন প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভ্যাকসিন না পাওয়ার ফলে কাঞ্চনপুরে আসতে হয় মদনমোহন মাহাতোকে। তিনি বলেন, এখানে এসে দেখলাম প্রচণ্ড ভিড়। দুদিন ধরে ঘুরে যাচ্ছি ভ্যাকসিন পাচ্ছি না।
তাঁরও দাবি, নিজের এলাকায় ভ্যাকসিন পাচ্ছেন না তিনি। বললেন, আমাদের এলাকায় ভ্যাকসিন না পেয়ে এখানে এসেছিলাম। দুদিন সকাল থেকে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছি এখন দেখা যাক কখন ভ্যাকসিন পাওয়া যায়।
বেলিয়াতোড় এলাকার বাসিন্দা দেবেস চক্রবর্তী বলেন, সকাল থেকে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছি দেখা যাক কখন ভ্যাকসিন পাওয়া যায়। আমাদের এলাকায় গিয়েছিলাম। কিন্তু ভ্যাকসিন পায়নি। সেই কারণে কাঞ্চনপুর এসেছি সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি।
এপ্রসঙ্গে ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবজ্যোতি গোস্বামী জানান, আমাদের এখানে বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষজন আসছেন ভ্যাকসিন নিতে। সকলকে ভ্যাকসিন দেওয়ার চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, প্রতিদিন আমরা ১০০ জনকে ভ্যাকসিন দিচ্ছি। কিন্তু বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষজন আসছেন। ওই কারণে লম্বা লাইন হয়ে গেছে।
সব মিলিয়ে ভ্যাকসিন দুর্ভোগ কবে কাটবে? কবে সবাই ভ্যাকসিন পাবেন? সেই প্রশ্নই এখন মাথাচাড়া দিচ্ছে।