Bankura: বাঁকুড়া জেলাশাসকের দফতরের সামনে প্রাথমিক শিক্ষক পদ প্রার্থীদের গণ বিক্ষোভ
মঙ্গলবার 'প্রাথমিক টেট উর্ত্তীর্ণ বঞ্চিত ডি.এল.ড ঐক্যমঞ্চে'র সদস্যরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি নিয়ে নিজেদের দাবি নিয়ে মিছিল করে বাঁকুড়া জেলাশাসকের দফতরের সামনে পৌঁছান।
পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়াঃ ফের 'হয় চাকরি, নয় স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি' দেওয়ার দাবি জানিয়ে আন্দোলনে নামল প্রাথমিক শিক্ষক পদ প্রার্থীরা। মঙ্গলবার 'প্রাথমিক টেট উর্ত্তীর্ণ বঞ্চিত ডি.এল.ড ঐক্যমঞ্চে'র সদস্যরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ব্রাত্য বসুর ছবি সম্বলিত নিজেদের দাবি সম্বলিত ফেস্টুন নিয়ে মিছিল করে বাঁকুড়া জেলাশাসকের দফতরের সামনে পৌঁছান। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি গলায় ঝুলিয়ে দীর্ঘক্ষণ গণ অবস্থান ও ডেপুটেশান কর্মসূচিতে অংশ নেন তাঁরা। আন্দোলনকারী চাকরি প্রার্থীদের দাবি, আমরা ২০১৪ সালের টেট উর্ত্তীর্ণ ও অন্তর্ভূক্ত না হওয়া প্রার্থী। সবারই বক্তব্য যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী গত নভেম্বর মাসে ২০১৪ সালে টেট উর্ত্তীর্ণদের নিয়োগপত্র দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। এই ঘোষণায় প্রার্থীদের পরিবার আশার আলো দেখেছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরও নিয়োগপত্র পাননি কেউই। এই মুহূর্তে রাজ্য সরকারের তরফে চাকরি দিতে না পারলে স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি দেওয়া হোক বলে আন্দোলনকারীরা দাবি তুলেছেন।
আন্দোলনকারীদের মধ্যে একজন প্রিয়ব্রত দাস বলেন, '১৬ হাজার ৫০০ জন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের কথা ছিল। গত বছর নভেম্বরে এই নিয়ে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন যে আমাদের নিয়োগের ব্যাপারে ভাবনা চিন্তা করবেন তিনি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও সুরাহা হয়নি। আমরা যারা পূর্ণ প্রশিক্ষণ নিয়ে ডিএলএট প্রার্থী রয়েছি, সবাই তাই এবার জেলাশাসকের কাছে এসেছি। গণ অবস্থান করছি। আমাদের একটাই আর্জি আমাদের বেকারত্বের সমস্যার বিষয় কিছু ভাবনা চিন্তা করা হোক। আমাদের জেলায় ১০০ জনের ওপর টেট প্রার্থী রয়েছে। যারা বিগত ৭-৮ বছর ধরে বেকার। আমাদের কথা এবার না ভাবনা হলে বাধ্য হয়ে আমরা এবার স্বেচ্ছামৃত্যুর পথে হাঁটতে বাধ্য হব।'
আরেক আন্দােলনকারী সুপ্রিয়া সাধু বলেন, 'এরকম করোনা পরিস্থিতির মধ্যে আমরা সবাই পথে নেমেছি। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া আমাদের আর কোনও আশা নেই। ওনার ওপরই ভরসা করেছি। যদি আমাদের কথা এবার না মানা হয়, তবে এবার কলকাতায় গিয়ে বৃহত্তর আন্দােলনে নামতে বাধ্য হব আমরা।'