আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে বঙ্গ-বিজেপির ভরসা টিম ত্রিপুরা?
কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্য বিজেপির ভরসা ত্রিপুরা জয়ের দুই কাণ্ডারী। বিপ্লব দেব ও সুনীল দেওধরকে এরাজ্যে আনতে চায় তারা। এনিয়ে রাজ্য বিজেপির তরফে অনুরোধ জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে। ২৫ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে ত্রিপুরা দখল করেছে বিজেপি। দেড় শতাংশ থেকে একলাফে তাদের ভোটের হার পৌঁছেছে ৪৩ শতাংশে। সূত্রের দাবি, পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলকে টক্কর দিতে ত্রিপুরা জয়ের দুই কাণ্ডারী, মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব এবং সে রাজ্যে বিজেপির পর্যবেক্ষক সুনীল দেওধরকে বাংলায় আনতে চলেছেন রাজ্য বিজেপির নেতারা। সূত্রের দাবি, এই দুই নেতাকে কীভাবে কাজে লাগানো হবে, তা নিয়ে প্রাথমিকভাবে আলোচনাও হয়েছে। ঠিক হয়েছে, বিপ্লব দেবকে দিয়ে পঞ্চায়েত স্তরে একাধিক সভা করানো হবে। কারণ বাঙালি হিসেবে গ্রামের মানুষদের সঙ্গে জনসংযোগের কাজটা তিনি মসৃণভাবে করতে পারবেন। আর সুনীল দেওধর থাকবেন কৌশল তৈরির দায়িত্বে। ঠিক যেভাবে প্রায় দু’বছর ধরে ত্রিপুরায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে পড়ে থেকে তিনি বিজেপির জয়ের ভিত গড়েছেন। আনুষ্ঠানিকভাবে অবশ্য এনিয়ে রাজ্য বিজেপি এখনই খোলসা করে কিছু বলতে চাইছে না। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, আলোচনা করে ঠিক করা হবে, কীভাবে কাজে লাগানো হবে। শনিবার রাজ্য বিজেপি-র কোর কমিটির বৈঠক। সেখানেই এনিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের দাবি। সুনীল দেওধর অবশ্য ইতিমধ্যে জানিয়েছেন, দল অন্য কোনও রাজ্যে দায়িত্ব দিলে তা তিনি পালন করবেন। বিজেপি যখন সুনীল-বিপ্লব জুটিতে ভর করে তৃণমূলকে টেক্কা দেওয়ার স্বপ্ন দেখছে, তখন তৃণমূল এই ভাবনাকে আমলই দিতে রাজি নয়। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, মোদীর মুখ, অমিত শাহর মুখ আর চলল না। এখন বিপ্লব দেব। বিজেপির ফুল ফোটার কোনও সম্ভাবনাই নেই। কী কৌশল নেবে? ত্রিপুরায় বিপ্লব দেব আৰ কী যেন নাম? আগে ভূগোল বই পড়ুক তারপর দেখা যাবে। একই সুর কংগ্রেসের গলাতেও। দলের বিধায়ক অসিত মিত্র বলেন, আমি দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি, সুনীল দেওধর এখানে কিছু করতে পারবে না। এখানকার মতো দক্ষতা নেই। সিপিএম আবার বিজেপির এই কৌশলের মধ্যেও তৃণমূলের সঙ্গে আঁতাঁতের আভাস দেখছে। দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, আনার উদ্দেশ্য আছে। ত্রিপুরায় বিজেপিকে সাহায্য করেছে তৃণমূল। এখানে প্রতিদান দিতে আসছে। রাজ্য বিজেপি অবশ্য বসে নেই। সূত্রের দাবি, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে নিজেদের চাহিদার কথা জানিয়েছে তারা। এখন অপেক্ষা শুধু সিলমোহরের।