নারদকাণ্ডের চার্জশিটে মন্ত্রী-বিধায়কদের নাম, সিবিআই-ইডিকে বিধানসভায় তলব অধ্যক্ষর
বিধানসভার অধ্যক্ষের অফিস সূত্রে দাবি, বিধায়ক বা সাংসদদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিতে গেলে সংশ্লিষ্ট বিধানসভা বা লোকসভার অধ্যক্ষের অনুমোদন প্রয়োজন হয়।
কলকাতা: বিধানসভার অধ্যক্ষেপ সম্মতি না নিয়ে নারদকাণ্ডে সিবিআই ও ইডির চার্জশিটে জনপ্রতিনিধিদের নাম দেওয়া নিয়ে আইন লঙ্ঘিত হয়েছে। এই অভিযোগে এবার দুই কেন্দ্রীয় সংস্থাকে চিঠি দিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। ২২ সেপ্টেম্বর সিবিআই-ইডির ২ অফিসারকে বিধানসভায় তলব করলেন তিনি। ডিএসপি-সিবিআই, অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর-ইডিকে বিধানসভায় তলব করা হয়েছে। দুপুর ১টায় বিধানসভায় হাজির হতে অধ্যক্ষ চিঠি দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
নারদকাণ্ডের চার্জশিটে মন্ত্রী-বিধায়কের নাম দেওয়া নিয়ে আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ডিএসপি-সিবিআই সতেন্দ্র সিংহ ও অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর ইডি রথীন বিশ্বাসকে বিধানসভায় তলব করা হয়েছে। ‘তাঁকে না জানিয়ে চার্জশিটে মন্ত্রী-বিধায়কের নাম থাকায় বিধানসভার অসম্মান হয়েছে।’ চার্জশিটে ফিরহাদ হাকিম-সুব্রত মুখোপাধ্যায়-মদন মিত্রের নাম থাকায় মনে করছেন অধ্যক্ষ।
নারদ মামলায় সিবিআই ও ইডি-র চার্জশিট জমা প্রসঙ্গে এই অভিযোগ তুলে, দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে চিঠি দিলেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে কেন আগাম অবহিত করা হয়নি এবং তাঁর অনুমতি না নিয়ে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সে ব্যাপারে বিধানসভায় হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন অধ্যক্ষ।
সিবিআইয়ের পরে নারদকাণ্ডে চার্জশিট দেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার চার্জশিটেই পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম,পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের নাম রয়েছে।
বিধানসভার অধ্যক্ষের অফিস সূত্রে দাবি, বিধায়ক বা সাংসদদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিতে গেলে সংশ্লিষ্ট বিধানসভা বা লোকসভার অধ্যক্ষের অনুমোদন প্রয়োজন হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে তা করা হয়নি।
কেন সেই নিয়ম লঙ্ঘিত হল? কেন চার্জশিট জমা দেওয়ার আগে অধ্যক্ষের অনুমতি নেওয়া হল না? সেই কারণ জানতে চেয়েই এবার দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে চিঠি দিয়েছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠিতে দুই কেন্দ্রীয় সংস্থার দুই অফিসারকে তলব করা হয়েছে।
গত পয়লা সেপ্টেম্বর বিশেষ আদালতে চার্জশিট পেশ করে ইডি। ৩ জনপ্রতিনিধি-সহ মোট ৫ জনকে আগামী ১৬ নভেম্বর হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সূত্রের খবর, রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং বিধায়ক মদন মিত্রকে সমনের চিঠি পৌঁছয় বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে। যদিও সেই চিঠি গ্রহণ করেনি বিধানসভার অধ্যক্ষের অফিস।