(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
'ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের অনুমোদন দিচ্ছে না কেন্দ্র', প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী
এ দিন ১২ টা নাগাদ জলবন্দি ঘাটালে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জলে নেমে পৌঁছলেন দুর্গতদের পাশে। করলেন ত্রাণবিলি।
আশাবুল হোসেন, পশ্চিম মেদিনীপুর: 'দীর্ঘদিন ধরে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান অনুমোদন করছে না কেন্দ্র। সেচমন্ত্রীকে মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে দিল্লি যেতে নির্দেশ। সুন্দরবন, দিঘা উপকূলকে বাঁচাতে দিল্লিতে পাঠানো হচ্ছে রিপোর্ট।' মঙ্গলবার ঘাটালে গিয়ে এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি এও বলেন অবিলম্বে এই প্ল্যান বাস্তবায়িত না করলে ঘাটালকে বাঁচানো যাবে না।
এ দিন ১২ টা নাগাদ জলবন্দি ঘাটালে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জলে নেমে পৌঁছলেন দুর্গতদের পাশে। নিজের হাতে ত্রাণবিলি করলেন। কথা বললেন প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে। ঘাটালের পরিস্থিতি সামাল দিতে আরও কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, আজ তাঁর প্রশাসনিক বৈঠক করারও কথা রয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের বেশ কিছু এলাকা থেকে জল নামলেও এখন রাস্তার অবস্থা খারাপ। বহু জায়গায় নলকূপ জলের তলায়। ফলে দেখা দিয়েছে পানীয় জলের সমস্যা।
জেলা প্রশাসনের তরফে জলের পাউচ সরবরাহের পরিমাণ পর্যাপ্ত নয় বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের একাংশের। ফসলেরও ক্ষতিরও আশঙ্কা করা হচ্ছে। গতকাল ঝাড়গ্রামে, বিশ্ব আদিবাসী দিবস অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার আগে, আকাশপথে হাওড়ার আমতা-উদয়নারায়ণপুরের বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেই ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি দেখলেন সাংসদ ও পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি দেব। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে মুখ খুললেন দেব। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দেব বলেন, ‘বন্যা হয়ে যাওয়ার পর ক্ষতির জন্য টাকা পাঠানো হয়। কিন্তু এই টাকাটা যদি আগেই পাঠিয়ে দেওয়া হত। তাহলে হয়ত এই তাণ্ডবটা আটকানো যেতে পারত। বন্যাতে এত ক্ষতির মুখ দেখতে হত না। ঘাটালের মানুষদের যন্ত্রণার সাক্ষী থাকতে হত না।’
দেব এদিন আরও বলেন, ‘এখানে যে যে ব্রিজগুলো রয়েছে, তা খুব তাড়াতাড়ি মেরামত করাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। বন্যা পরিস্থিতি মেকাবিলায় ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে আমরা অনেক দিন ধরেই লড়াই করছি। দিল্লিতে গিয়ে প্রচুর বৈঠকও করেছি। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। কেন্দ্র রাজ্য দ্বন্দ্বের জন্যই এই কাজ আটকে রয়েছে। আমার এখনও মনে হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি দেশের প্রধানমন্ত্রী হন, তবে ঘাটালের মানুষ ভীষণভাবে উপকৃত হবেন।’