Corona Vaccination Update: 'বেসরকারি হাসপাতালকে টিকা দিতে পারবে না রাজ্য', বন্ধ টিকাকরণ
‘দ্বিতীয় ডোজ নিতে এলে সরকারি টিকাদান কেন্দ্রের ঠিকানা দিন।’
কলকাতা: 'রাজ্য সরকার আর বেসরকারি হাসপাতালকে টিকা দিতে পারবে না’ সমস্ত বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিল রাজ্য সরকার। ১ মে থেকে রাজ্যে তৃতীয় দফার টিকাকরণ শুরু হয়েছে। তবে বিভিন্ন সমস্যার কারণে শুরু থেকেই বেসরকারি হাসপাতালে বন্ধ রয়েছে টিকাকরণ। এই অবস্থায়, রাজ্যের তরফ থেকে বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, 'দ্বিতীয় ডোজ নিতে এলে সরকারি টিকাদান কেন্দ্রের ঠিকানা দিন।' কেন্দ্রীয় সরকারের টিকা-নীতির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে শুক্রবার চিঠি পাঠিয়েছে রাজ্য।
উল্লেখ্য, কলকাতায় ১৪৫ টি জায়গায় সরকারিভাবে টিকাকরণ চলছে। সেখান থেকেই টিকা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে রাজ্য। কিছুদিন আগে বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে করোনার টিকাকরণ নিয়ে নয়া গাইডলাইন পাঠায় রাজ্য সরকার। রাজ্যের পাঠানো নির্দেশিকায় বলা হয়, ৩০ এপ্রিলের পর করোনা ভ্যাকসিনের সমস্ত পুরনো স্টক রাজ্য সরকারকে ফেরৎ দিতে হবে। ১ মে থেকে করোনার টিকাকরণ চালাতে হলে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে সরাসরি উৎপাদনকারী সংস্থার কাছ থেকে ভ্যাকসিন কিনে নিতে হবে।
এরপরই শুরু হয় জল্পনা। বেসরকারি হাসপাতালে করোনা টিকাকরণ অনিশ্চিত হয়ে যায়। রাজ্যকে এই নয়া সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা। এরপর স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেন বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের প্রশাসক ও শীর্ষ কর্তারা। আলোচনার পরেও রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালে কবে থেকে ১৮ ঊর্ধ্বদের টিকাকরণ শুরু হবে, সে নিয়ে কোনও স্পষ্ট উত্তর মেলেনি।
প্রথমে আশ্বাস মিললেও শেষ পর্যন্ত টিকাকরণ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায় বেসরকারি হাসপাতালে। গত ১ মে থেকে শুরু হয়েছে তৃতীয় দফার টিকাকরণ, এই দফায় ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সকলেই টিকা পাবেন। সেই মতো দেশজুড়ে আগামী ১ মে শুরু হয়েছে তৃতীয় দফার টিকাকরণ কর্মসূচি। যদিও পর্যাপ্ত ডোজের অভাবে এদিন অনেক রাজ্যই টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু করতে পারেননি। তবে ধীরে ধীরে তা স্বাভাবিক হয়।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি কোভিশিল্ড, কোভ্যাক্সিন কেনার ক্ষেত্রে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের জন্য আলাদা আলাদা দাম নির্ধারণ করেছে প্রস্তুতকারী সংস্থা। পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোকে আরও বেশি দাম দিয়েই ভ্যাকসিন কিনতে হবে বলে জানানো হয়েছে। রাজ্যগুলির সরকারি সংস্থার জন্য কোভিশিল্ডের দাম ধার্য হয়েছে ৪০০ টাকা। বেসরকারি হাসপাতালকে কোভিশিল্ড কিনতে হবে ৬০০ টাকায়। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ১৫০ টাকায় কোভিশিল্ড বিক্রি করবে সিরাম ইনস্টিটিউট।
অন্যদিকে কোভ্যাকসিন নির্মাণকারী সংস্থা ভারত বায়োটেক জানিয়েছে, সরকারি হাসপাতালের ক্ষেত্রে কোভ্যাক্সিনের দাম ধার্য করা হয়েছে ৬০০ টাকা। বেসরকারি হাসপাতালকে কোভ্যাকসিন কিনতে হবে ১২০০ টাকায়।