করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা, ১০ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়ল রাজ্য
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তার নেতৃত্বে এই কমিটি কাজ করবে। নিয়মিত বৈঠক করার পাশাপাশি বিভিন্ন হাসপাতাল পরিদর্শন ও পরিকাঠামোর উন্নতি নিয়েও কমিটি সরকারকে পরামর্শ দেবে।
কলকাতা: করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে ১০ সদস্যের নতুন বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়ল রাজ্য সরকার। এই কমিটিতে বিসি রায় শিশু হাসপাতালের অধ্যক্ষ দিলীপ পাল, স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের যোগীরাজ রায় ও বিভূতি সাহা, এসএসকেএমের অভিজিত্ চৌধুরী সহ ৬ চিকিত্সেক রয়েছেন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তার নেতৃত্বে এই কমিটি কাজ করবে। নিয়মিত বৈঠক করার পাশাপাশি বিভিন্ন হাসপাতাল পরিদর্শন ও পরিকাঠামোর উন্নতি নিয়েও কমিটি সরকারকে পরামর্শ দেবে।
শে বর্তমানে করোনায় দৈনিক মৃত্যু ও সংক্রমণের গ্রাফ নিম্নমুখী হলেও, তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কাও রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের আশঙ্কা, তৃতীয় ঢেউয়ে, শিশুরা আগের থেকে বেশি সংখ্যায় আক্রান্ত হতে পারে। সোমবার নবান্নে এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি শিশুদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে বেড বাড়ানো সহ অন্যান্য পরিকাঠামো গড়ে তোলার কথাও জানিয়েছেন।এরইমধ্যে আজ রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর এই বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে।
এই বিশেষজ্ঞ কমিটি বিভিন্ন হাসপাতালের প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোর ব্যাপারে নিয়মিত খোঁজ নেমে এবং ফাঁকফোঁকর মেরামতের দিকে নজর রাখবে। জানা গেছে, কোভিড হাসপাতালগুলি নিয়মিত পরিদর্শন করে কোনও খামতি থাকলে তা পূরণের জন্য পরামর্শ দেওয়া এবং সেই পরামর্শ রূপায়নের দিকে নজর রাখবে এই কমিটি।
করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুরা আক্রান্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ নিয়েছে। ১০ হাজার পেডিয়াট্রিক কোভিড বেড প্রস্তুত রাখতে চাইছে রাজ্য। বর্তমান যে বেড রয়েছে, সেগুলি দিয়েই এই পরিকাঠামো তৈরি করা হবে। নতুন করে সাড়ে তিনশ এসএনসিইউ বেড গড়ে তোলার ব্যাপারে জেলা, মহকুমা, সুপার স্পেশ্যাল হাসপাতালগুলিকে বলা হয়েছে। শিশুদের চিকিৎসার জন্য ১,৩০০ আইসিইউ বেড তৈরি করার মতো পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে।এরসঙ্গে আর কী কী পরিবর্তন দরকার, সংযোজন দরকার, সে বিষয়ে পরামর্শ দেবে কমিটি।
এদিকে জানা গেছে, তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আগেই শিশুদের জন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে কলকাতা পুরসভা। কলকাতায় প্রথম তৈরি হচ্ছে শিশুদের সেফ হোম। সিঁথির হরেকৃষ্ণ শেঠ লেনে কর্মরত মহিলাদের হস্টেলে ৬০ বেডের এই সেফ হোম তৈরি হচ্ছে। থাকছে মায়েদের থাকার ব্যবস্থাও।
পুরসভা সূত্রে খবর,চিকিত্সা পরিষেবার জন্য ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথের সঙ্গে স্বাক্ষরিত হতে চলেছে মউ।শিশু চিকিত্সার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ নেবেন পুরসভার মেডিক্যাল অফিসাররা। আশার কথা, ২-১৮ বছর বয়সীদের জন্য ভ্যাকসিনের ক্লিনিকাল ট্রায়াল ভারতে শুরু হয়েছে। এই ট্রায়াল সফলভাবে সম্পূর্ণ হলে এবং সরকারের অনুমোদন পেতে, অপ্রাপ্তবয়স্করাও করোনার ভ্যাকসিন নিতে পারবে।