East Midnapore: হলদিয়ায় বিক্ষোভের মুখে বিজেপি বিধায়ক, তৃণমূল কাউন্সিলরকে ঘেরাও জলবন্দি মানুষের
ভুক্তভোগীদের বক্তব্য, কীভাবে জল নামবে তা নিয়ে কোনও উদ্যোগ নেই। একে অপরের ঘাড়ে দায় ঠেলতে ব্যস্ত রাজনৈতিক দলগুলি
বিটল চক্রবর্তী, হলদিয়া: জলবন্দি এলাকায় গিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়লেন হলদিয়ার বিজেপি বিধায়ক। একই ওয়ার্ডে আবার তৃণমূল কাউন্সিলরকে ঘিরে চলল বিক্ষোভ। যা নিয়ে চাপানউতোরে জড়িয়েছে দুই দল।
ঘণ্টা দেড়েকের ব্যবধান। হলদিয়ায় জলবন্দি এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে, ক্ষোভের আঁচ টের পেলেন জনপ্রতিনিধিরা। বৃহস্পতিবার একই ওয়ার্ডের দু’জায়গায় বিজেপি বিধায়ক ও তৃণমূল কাউন্সিলরকে ঘেরাও করে চলল বিক্ষোভ।
টানা বৃষ্টিতে হলদিয়ার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের একাংশ জলের তলায়। ওই ওয়ার্ডের শ্রাবণী ব্লক এলাকায় এদিন গেলে, ক্ষোভের মুখে পড়েন বিজেপি বিধায়ক তাপসী মণ্ডল।
তাপসী মণ্ডলকে দেখে ক্ষিপ্ত বাসিন্দাদের এমনও বলতে শোনা যায়, যাও, ঢুকতে দেব না। আমরা ঢুকতে দেব না। আপনার আগে আসা উচিত ছিল। এই লোকগুলো খাবে কী?
তখন, বিজেপি বিধায়ককে বলতে শোনা যায়, আমি প্রতিদিন আসি। ক্ষিপ্ত বাসিন্দাদের বলতে শোনা যায়, প্রতিদিন তো দেখতে পাই না। আজকে দেখতে পাচ্ছি।
হলদিয়ার স্থানীয় বাসিন্দা কাজল বিবি বললেন, তাপসী মণ্ডল ঢুকেছিল আমরা তাঁকে ঢুকতে দিইনি, কী করে ঢুকতে দেব? আমাদের কাছে কি জানতে এসেছে কেমন আছি? ভোটের সময় বলে দিদি আমি আছি আমাকে দিন। ভোট নেবার পর দিদি টাটা।
বিক্ষোভের নেপথ্যে তৃণমূলের হাত দেখছেন বিজেপি বিধায়ক। তাপসী মণ্ডল বলেন, জনগণ চাইছে আমি ঢুকি। এখানকার টিএমসি মেম্বার জোর করে উস্কে দিচ্ছে। আমি প্রতিদিন ঘুরছি কোনওদিন হয়নি। আজ আসবে জেনে অসভ্যতা করছে।
পাল্টা জবাব দিয়েছে শাসক দল। হলদিয়া পুরসভার কাউন্সিলর তথা তৃণমূল নেতা আসগর আলি বলেন, সাধারণ মানুষ বিক্ষোভ দেখালে অস্বাভাবিক নয়। জলবন্দি মানুষের সঙ্গে তৃণমূল আছে। পরিযায়ীর মতো কে কোথায় ঘুরছে তার কৈফিয়ত দেব না।
হলদিয়ার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের হৈমন্তী ব্লকে আবার তৃণমূল কাউন্সিলর বিক্ষোভের মুখে পড়েন। স্থানীয়দের বলতে শোনা যায়, এতদিন কোথায় ছিলেন? কাউন্সিলর গো ব্যাক।
হলদিয়ার স্থানীয় বাসিন্দা শুভাশিস মাহাতো বলেন, বিজেপিকে ভোট দিয়েছি বলে কাউন্সিলর এলাকায় ঘোরেনি, আমরা নাকি বিজেপি ভোট দিয়েছি তার জন্য আমরা বৃষ্টিতে ডুবে আছি।
জবাবে শ্রাবন্তী শাসমল বলেন, আমি কি প্রত্যেক বাড়িতে যেতে পারব? যতটা পারছি যাচ্ছি, চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি যাতে দ্রুত জল নামানো যায়।
ভুক্তভোগীদের বক্তব্য, কীভাবে জল নামবে তা নিয়ে কোনও উদ্যোগ নেই। একে অপরের ঘাড়ে দায় ঠেলতে ব্যস্ত রাজনৈতিক দলগুলি।