Band Party in Funeral: ১০৬ বছরে মৃত্যু দাদুর! স্মরণীয় রাখতে ব্যান্ডপার্টি সহকারে শ্মশান যাত্রা নাতিদের
Celebrating Funeral in Howrah: নাতিদের বক্তব্য দাদু দীর্ঘদিন বেঁচে ছিলেন। তাই তারা গর্বিত। আর দাদুর এই মৃত্যুকে স্মরণীয় করে রাখতে ও দাদুর প্রতি সম্মানার্থেই এই ব্যান্ড পার্টির আয়োজন করা হয়েছে।
সুনীত হালদার, উলুবেড়িয়া: দাদুর বয়স ১০৬ বছর। তাই দাদুর মৃত্যুকে স্মরণীয় রাখতে ব্যান্ডপার্টি সহকারে শ্মশান যাত্রা করল নাতিরা। বুধবার নাতিরা-সহ পরিবারের অন্যান্যরা বোয়ালিয়া গ্রামের বাসিন্দা রতিকান্ত ভৌমিকের পরলৌকিক ক্রিয়া এভাবেই সম্পন্ন করলেন। তাতে যোগ দেন গ্রামবাসীরাও। বাড়ি থেকেই ব্যান্ডপার্টি বাজিয়ে শ্মশানযাত্রা করা হয়। মরদেহ পোড়ানোর সময়েও বাজতে থাকে মিউজিক।
নাতিদের বক্তব্য দাদু দীর্ঘদিন বেঁচে ছিলেন। তাই তারা গর্বিত। আর দাদুর এই মৃত্যুকে স্মরণীয় করে রাখতে ও দাদুর প্রতি সম্মানার্থেই এই ব্যান্ড পার্টির আয়োজন করা হয়েছে। তবে মিউজিকের মাধ্যমে হরে কৃষ্ণ হরে রাম অর্থাৎ হরিনাম সংকীর্তন বাজানো হচ্ছিল। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার বেলা ১২টা ৫০ মিনিট নাগাদ তিনি মারা যান। তাঁর মৃত্যুর খবরে পেয়ে ছুটে আসেন পরিবারের সদস্যরা। রতিকান্তবাবুর ছয় ছেলে ও চার মেয়ে। এর মধ্যে এক ছেলে মারা গিয়েছেন। স্ত্রী রাধারানী ভৌমিকও মারা গিয়েছেন অনেকদিন আগেই। পরিবারের বক্তব্য নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর সঙ্গে স্বাধীনতা সংগ্রামে তিনি জড়িত ছিলেন। তাঁদের পরিবারে সব মিলিয়ে প্রায় শদেড়েক সদস্য।
রতিকান্তবাবুর মৃত্যুতে ঘরে কান্নার রোল পড়ে যায়। তবে ইতিমধ্যেই নাতি-নাতনিরা ঠিক করে তারা এক গর্বিত পরিবারের সদস্য। দীর্ঘদিন জীবিত ছিলেন দাদু। অনেক ইতিহাসের স্বাক্ষী তিনি। অনেক অভিজ্ঞতা তারা পেয়েছেন দাদু রতিকান্তবাবুর কাছ থেকে। ফলে তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া একটু অন্যভাবে পালন করা হোক। সে জন্য তারা ঠিক করেন ব্যান্ডপার্টি বাজিয়ে শ্মশান যাত্রা করা হয়। রতিকান্তবাবুর নাতি পলাশ ভৌমিক বলেন, ‘‘আমরা দ্রুত ব্যান্ড পার্টির আয়োজন করি। খোল করতাল জোগাড় করা হয়। মরদেহ কাঁধে নিয়ে এগোতে থাকেন নাতি ও পরিবারের লোকেরা। তার পিছনে পিছনে হাঁটতে থাকেন পরিবারের সদস্যরা। আসেন গ্রামবাসীরাও। ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী খই ছড়ানো হয়। পাশাপাশি মাইকে বাজানো হতে থাকে মিউজিক। তাদের বক্তব্য এই মিউজিকে হরিনাম সংকীর্তন বাজানো হচ্ছিল। দামোদর নদের তীরে বোয়ালিয়ার বাড়বেড়িয়া বিজিপুকুর এলাকার শ্মশানে তার শেষকৃত্য হয়।’’ রতিকান্ত বাবুর ছেলে অশোক ভৌমিক বলেন, ‘‘বাবা খুবই ধর্মপ্রাণ ছিলেন। উনি বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বী ছিলেন। বাড়িতে রাধামাধবের মন্দির রয়েছে। সেখানে পাথরের বিগ্রহ রয়েছে। তিনি নিরামিষাশী ছিলেন। রতিকান্তবাবু মাস দুয়েক ধরে শয্যাশায়ী ছিলেন তার পরেই হঠাৎই বুধবার দুপুরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ৷