Governor Vs Bengal: ‘অপরাধীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হওয়া উচিত’: কল্যাণ
"কেউ তদন্তে বাধা দিলে ১৮৬ ধারায় শাস্তি হওয়া জরুরি....", মত তৃণমূল সাংসদের
কলকাতা: রাজ্য বনাম রাজ্যপালের সংঘাতে নয়া মোড়। এবার রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সরাসরি অপরাধীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অভিযোগ করলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূল সাংসদ এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ব্যবসায়ী সুদীপ্ত রায়চৌধুরীর বিরুদ্ধে গরুপাচার, মানুষ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। ইডির নাম করে ভুয়ো তথ্য পেশ করেছেন সুদীপ্ত রায়চৌধুরী। রোজভ্যালি ছাড়া আরও দুটি কেস যুক্ত হয়েছে।
কল্যাণ যোগ করেন, গোবিন্দ আগরওয়াল ও সুদীপ্ত রায়চৌধুরী দুজনেই প্রতারক। এই দুজনের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা পিএমএলএ আইনে তদন্ত করছে। অথচ কলকাতা পুলিশের কাজের সমালোচনা করছেন রাজ্যপাল।’
তৃণমূল সাংসদের দাবি, পুলিশের সমালোচনা করে এই দুই অপরাধীর পক্ষ নিচ্ছেন রাজ্যপাল। তাঁর প্রশ্ন, ‘দুই অভিযুক্তের পক্ষে কেন কথা বলছেন রাজ্যপাল? তাহলে কী তদন্তে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছেন রাজ্যপাল?’
এরপরই বিস্ফোরক অভিযোগ করেন শ্রীরামপুরের সাংসদ। তিনি বলেন, ‘রাজ্যপালের সঙ্গে অপরাধীদের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। বারবার মুখ্যমন্ত্রীকে টার্গেট করে তদন্ত ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন রাজ্যপাল।’
এখানেই থেমে যাননি কল্যাণ। তদন্তে বাধা দেওয়ার অভিযোগে রাজ্যপালের বিরুদ্ধেও আইনি প্রক্রিয়া হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেন পেশায় আইনজীবী কল্যাণ। বলেন, ‘কেউ তদন্তে বাধা দিলে ১৮৬ ধারায় শাস্তি হওয়া জরুরি। পুলিশ সহ সরকারি কর্মীদের হুমকি দিচ্ছেন, কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছেন রাজ্যপাল।’
কল্যাণ স্পষ্ট বলেন, ‘জগদীপ ধনকড়ের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা চালু করা উচিত। এই প্রেক্ষিতে রাজ্যাপলকে ভারতীয় আইন পড়ার পরামর্শও দেন। বলেন, আগে ১৬৩ ধারা ভালো করে পড়ুন রাজ্যপাল।’