দীর্ঘ ২০ বছরের অ্যাসিড, ব্লিচিং পাউডারের বেআইনি ব্যবসা, হাবরা থেকে গ্রেফতার কারখানার মালিক
শনিবার হাবরা পৌরসভার সুভাষ রোড থেকে আনুমানিক ৪৫০ লিটার অবৈধ মিউরেটিক অ্যাসিড এবং ব্লিচিং পাউডার উদ্ধার করেন আধিকারিকরা।
সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: হাবরা থেকে শতাধিক লিটার অবৈধ অ্যাসিডসহ গ্রেফতার কারখানার মালিক গ্রেফতার। শনিবার হাবরা পৌরসভার সুভাষ রোড থেকে আনুমানিক ৪৫০ লিটার অবৈধ মিউরেটিক অ্যাসিড এবং ব্লিচিং পাউডার উদ্ধার করেন পুলিশ আধিকারিকরা।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শনিবার সকালে জেলা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ ও হাবরা থানার পুলিশের যৌথ উদ্যোগে হানা দেয় এলাকায়। এর পরই উত্তর ২৪ পরগনার হাবরা থানার অন্তর্গত এই এলাকা থেকে গ্রেফতার করে অভিযুক্তকে। ধৃত ওই বছর ৫৫-র ব্য়ক্তি কারখানার মালিক সোমনাথ আচার্য।
ওই কারখানা থেকে ৬০ লিটার করে রাখা ৭টি বড় মিউরেটিক অ্যাসিডের জার, প্রচুর ব্লিচিং পাউডার, বোতলের উপরে লাগানোর জন্য লেবেল উদ্ধার হয়েছে। যদিও কারখানার মালিকের কাছ থেকে শুধুমাত্র পৌরসভার ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া কোনও রকমের রেজিস্ট্রেশনের বৈধ কাগজপত্র মেলেনি।
জানা গিয়েছে দীর্ঘ কুড়ি বছর ধরে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। নামী কোম্পানির লেবেল অন্য বোতলের উপরে লাগিয়ে বাজারে বিক্রি করতেন বলেও জানা গিয়েছে। অভিযুক্ত সোমনাথ আচার্য আরও কোনও অবৈধ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত কিনা পুলিশ ও জেলা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা খতিয়ে দেখছেন।
উল্লেখ্য, শনিবার বেআইনি ভ্যাকসিন ক্যাম্পের হদিশ মিলেছে সোনারপুরে। ক্যাম্প চালানোর অভিযোগ খোদ স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে কোভিশিল্ডের দুটি ভায়াল। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত মিঠুন মণ্ডল ডায়মন্ড হারবার পঞ্চগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ফার্মাসিস্ট। একইসঙ্গে তিনি ডায়মন্ড হারবারের মশাট প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভ্যাকসিন কোঅর্ডিনেটর হিসেবে কাজ করতেন।
পুলিশের দাবি, গতকাল সোনারপুরের রূপনগরে চলছিল বেআইনি ভ্যাকসিন ক্যাম্প। খবর পেয়ে পুলিশ হাতেনাতে পাকড়াও করে স্বাস্থ্য দফতরের ওই কর্মীকে। অভিযুক্তকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, টাকার বিনিময়ে ৩০-৪০ জন ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন। ভ্যাকসিন আসল কিনা জানতে স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে পুলিশ।
একই দিনে আরও এক ভুয়ো ব্যক্তির খোঁজ মিলেছে মালদায়। সরকারি অফিসের নাকের ডগায় বসে শংসাপত্র দুর্নীতি চালাচ্ছিলেন অভিযুক্ত। সই ও সিলমোহর জাল করে শংসাপত্র বিক্রির অভিযোগে মালদার চাঁচলে গ্রেফতার হন এক দলিল লেখক। সরকারি তদন্তেই ধরা পড়েছে এই প্রতারণা। জনপ্রতিনিধিদের সই থেকে সিলমোহর, এভাবে জাল করার পিছনে কোনও বড় চক্র কাজ করছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।