Howrah: বাগনানে বিজেপি কর্মীর ব্রেনস্ট্রোকে আক্রান্ত স্ত্রীকে 'গণধর্ষণ', গ্রেফতার ২ তৃণমূল নেতা-কর্মী
অভিযোগ, রবিবার রাতে গৃহকর্তার অনুপস্থিতির সুযোগে বাকশক্তিহীন মহিলাকে হাত-পা বেঁধে গণধর্ষণ করা হয়...
সুনীত হালদার, বাগনান: স্বামী বিজেপি করার অপরাধে তাঁর ব্রেনস্ট্রোকে আক্রান্ত স্ত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল কয়েকজন তৃণমূল নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। বিজেপি কর্মীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২ তৃণমূল নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাকে ঘিরে সরগরম হাওড়ার বাগনানের বাইনান এলাকা।
এক বিজেপি কর্মীর অভিযোগ, বিধানসভা ভোটে গেরুয়া শিবির তাঁদের বুথে এগিয়ে থাকায় অনেক দিন ধরেই তৃণমূলের নিশানায় ছিল পরিবার। রবিবার রাতে গৃহকর্তার অনুপস্থিতির সুযোগে তৃণমূলের কয়েকজন স্থানীয় নেতাকর্মী তাঁর স্ত্রীকে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
বিজেপি কর্মীর দাবি, তাঁর স্ত্রী প্রায় এক বছর যাবৎ ব্রেনস্ট্রোকে আক্রান্ত। বাকশক্তিহীন। এহেন অসুস্থ মহিলাকে হাত-পা বেঁধে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে পরিবার।
নির্যাতিতার স্বামী বলেন, আমি সক্রিয় বিজেপি করি। ভোটের আগে ও পরে আমাদের হুমকি। টার্গেট করে রেখেছিল। নানা ভাবে হামলার চেষ্টা আমার ওপর। আমার অনুপস্থিতির সুযোগে এই নির্যাতন। স্ত্রী কথা বলতে পারে না, হাত নাড়াতে পারে না। সারা গায়ে আঁচড়ের দাগ।
উলুবেড়িয়া মহিলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে বিজেপি কর্মীর পরিবার। গণধর্ষণের মামলা রুজু করে ২ তৃণমূল নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপি হাওড়া গ্রামীণ সহ সভাপতি রমেশ সাধুখাঁ বলেন, গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে যা করছে তৃণমূল, এখানেও তার ব্যতিক্রম নয়। অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে মহিলাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে।
জবাবে তৃণমূল কংগ্রেস হাওড়া সদর সভাপতি তথা সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে। আগে তো গ্রেফতারই হতো না। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জাত-ধর্ম-বর্ণ কোনও ব্যাপার নয়। আইন আইনের পথে চলবে। বাকিটা আদালত যা সিদ্ধান্ত নেবে তাই হবে। এতে আমাদের কোনও ব্যাপার নেই। বিজেপি অনেক মিথ্যা অভিযোগও করে। রাজ্যের মাটিতে ওদের যে গ্রহণযোগ্যতা নেই, বিধানসভা ভোটের ফলেই তা স্পষ্ট।
অভিযোগ সামনে আসতেই তৃণমূল ও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকে কাঠগড়ায় তুলে ট্যুইট করেন বিজেপির আইটি সেলের আহ্বায়ক অমিত মালব্য। কিন্তু, সেখানেও বিতর্ক বাধে। নিজের ট্যুইটে এফআইআর-এর কপির যে প্রতিলিপি অমিত মালব্য অ্যাটাচ করেছেন, তাতে বিজেপি কর্মীর পরিবারের নাম পরিচয় গোপন রাখা হলেও, বাড়ির ঠিকানা প্রকাশ্যেই থেকে গিয়েছে।
বাগনানের ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুযুধান দুই শিবির।