Jalpaiguri: মিড-ডে মিলের টাকা 'আত্মসাৎ' প্রধান শিক্ষকের, স্কুলে বিক্ষোভ অভিভাবকদের
অভিযোগ, রাঁধুনি তাঁর প্রাপ্য টাকা পাননি, মিড-ডে মিলে মিলছে নিম্নমানের খাবার। অন্য স্কুলের পড়ুয়ারা পোশাক পেলেও এই স্কুলে এখনও এসে পৌঁছোয়নি পড়ুয়াদের পোশাক...
রাজা চট্টোপাধ্যায়, রাজগঞ্জ: এবার মিড ডে মিলের টাকা আত্মসাৎ সহ একাধিক অভিযোগ উঠল রাজগঞ্জের এক প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক তৃণমূলের তফশিলি জাতি ও উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি সেলের রাজগঞ্জ ব্লকের কার্যনির্বাহী সভাপতিও।
রাজগঞ্জের বলদাপুকুর নেতাজি সুভাষ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পূর্ণচন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি মিড-ডে মিল সহ রাঁধুনির টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অভিযোগ, রাঁধুনি তাঁর প্রাপ্য টাকা পাননি, মিড-ডে মিলে মিলছে নিম্নমানের খাবার। অন্য স্কুলের পড়ুয়ারা পোশাক পেলেও এই স্কুলে এখনও এসে পৌঁছোয়নি পড়ুয়াদের পোশাক।
এই অভিযোগে অভিভাবকদের একাংশ স্কুলের সামনে বিক্ষোভও দেখিয়েছেন। এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র সংখ্যা ৩০০ জন। ছাত্র সংখ্যা অনুপাতে তিনজন রাঁধুনিকে পারিশ্রমিক হিসেবে ১৫০০ টাকা করে সান্মানিক দেওয়ার কথা। কিন্তু, প্রধান শিক্ষক অনেক কম টাকা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ অভিভাবকদের।
এক অভিভাবক বলেন, এখানকার প্রধান শিক্ষক যেভাবে স্কুল পরিচালনা করছেন সেটা মোটেই ভালো নয়। এই স্কুলে ৩০০ জন বাচ্চা আছে তার মধ্যে ১০০ জন মিড-ডে মিল পায় বাকি ১০০ জনকে দেওয়া হয় না। বেলা ১২ টায় এলে মিড-ডে মিল নেই বলে ঘুরিয়ে দেন। পোশাকও দেওয়া হচ্ছে না। প্রধান শিক্ষককে জিজ্ঞাসা করলে উনি কথার উত্তর দেন না। এই বিষয়টা স্কুল ইন-চার্জকে জানিয়েছি। এই স্কুলের পাশে আম কাঁঠালের গাছ ছিল সেটাও উনি বিক্রি করে দিয়েছেন। আমরা এই প্রধান মাস্টারের শাস্তি চাই।
আরেক অভিভাবক বলেন, লকডাউন থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত রাঁধুনিরা টাকা পাননি। মিড-ডে মিলের যে সামগ্রী এখানে দেওয়া হয় সেটা খুব নিম্নমানের। পচা সোয়াবিন, পচা সবজি, ডালে পোকা থাকে। স্কুল রিপেয়ারের জন্য ৫০ হাজার টাকা এসেছিল, কি করেছে সেই টাকা আমরা জানি না। এই এলাকার অন্য স্কুলে পোশাক পেলেও এই স্কুলের বাচ্চারা পোশাক পায়নি। তাই, এখন স্কুলে বিক্ষোভ হচ্ছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষকের দাবি, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। বললেন, এগুলো রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছু নয়। যা অভিযোগ তুলেছে সব ভিত্তিহীন। দলের লোকই করেছে। এটা গোষ্ঠীকোন্দল। বিধায়কের লোকজনই ষড়যন্ত্র করে এই অভিযোগ এনেছে। আমাকে তদন্তে ডাকলে আমি যাব কাগজপত্র দেখাব। ডাকলে জবাব দেব, আমি একদম রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার।
বিধায়ক খগেশ্বর রায় দাবি করেন, প্রধান শিক্ষক একজন চোর। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী এত টাকা দিচ্ছে সেই টাকা যদি প্রধান শিক্ষক চুরি করবে এটা মানা যাবে না। উনি বাস্তবে চোর, চুরি করেছেন। আমি যথাযথ শাস্তির দাবি রাখছি। উনি আমাদের দলেই হোক না কেন, আমরা এটা সহ্য করব না। দরকারে মন্ত্রীকেও জানানো হবে। বিধায়ক হিসেবে আমার তদন্ত করার আধিকার আছে।
লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন ওই সার্কেলের বিদ্যালয় পরিদর্শক অনুপ হালদার।