![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
Malda Land Erosion: জল কমতেই শুরু ভাঙন, গঙ্গার গ্রাসে ভিটেমাটি হারানোর আশঙ্কায় মালদার একাধিক গ্রামের বাসিন্দারা
২০০ মিটার এলাকা জুড়ে ব্যাপক ভাঙন নদীর পাড়ে। আতঙ্কে স্থানীয় বাসিন্দারা
![Malda Land Erosion: জল কমতেই শুরু ভাঙন, গঙ্গার গ্রাসে ভিটেমাটি হারানোর আশঙ্কায় মালদার একাধিক গ্রামের বাসিন্দারা Land erosion In Malda due to Ganga, villagers fearing loss of land Malda Land Erosion: জল কমতেই শুরু ভাঙন, গঙ্গার গ্রাসে ভিটেমাটি হারানোর আশঙ্কায় মালদার একাধিক গ্রামের বাসিন্দারা](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2021/06/25/32c21e5afcddfab09c9c24ff34f925d1_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
করুণাময় সিংহ ও অভিজিৎ চৌধুরী, মালদা : হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ছে মাটির চাঁই। গঙ্গা ক্রমেই এগিয়ে আসছে গ্রামের দিকে। ভাঙনের আতঙ্কে ভিটেমাটি হারানোর ভয় গ্রাস করেছে ১০ থেকে ১২টি গ্রামের বাসিন্দাদের। মালদার মানিকচকের ভুতনির কোশিঘাট এলাকায় গঙ্গার জলস্তর নামতেই শুরু হয়েছে ভাঙন। ২০০ মিটার এলাকা জুড়ে ব্যাপক ভাঙন নদীর পাড়ে। আতঙ্কে স্থানীয় বাসিন্দারা। দ্রুত ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। সেচ দফতরের আধিকারিকদের ঘটনাস্থলে গিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সেচ প্রতিমন্ত্রী।
মালদার মানিকচকের ভুতনির কোশিঘাট এলাকায় গত দু’দিন ধরে গঙ্গার জল নামতে শুরু করেছে। আর জলস্তর নামার পরই শুরু হয়েছে প্রায় ২০০ মিটার এলাকা জুড়ে ভাঙন। মাত্র ১০০ মিটার দূরে রয়েছে নদীবাঁধ। স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা, ভাঙন বাড়তে থাকলে গঙ্গার গর্ভে তলিয়ে যেতে পারে বাঁধও। জেলার সেচ দফতর সূত্রে বক্তব্য, জল বাড়লে পাড়ের কাছের মাটি নরম হয়ে যায়। তারপর জল যখন নামতে শুরু করে তখন ঘূর্ণিতে পাড়ের কাছের সেই নরম মাটি সরতে শুরু করে। তার ফলেই দেখা দেয় ভাঙন।
মানিকচকের স্থানীয় বাসিন্দারা অবশ্য ভাঙন ঘিরে প্রবল আতঙ্কে। কোশিঘাটের বাসিন্দা দিলীপ মণ্ডল বলেছেন, '২০০ মিটার এলাকা জুড়ে ভাঙন হচ্ছে। জল কমার ফলে ভাঙন হচ্ছে। এইভাবে ভাঙন চললে নদী গর্ভে তলিয়ে যাবে বাঁধ। ১০ থেকে ১২টি গ্রামের মানুষ বিপদে পড়বেন।' এদিকে, সেচ প্রতিমন্ত্রী তথা মুথাবাড়ির তৃণমূল বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিন জানিয়েছেন, সেচ দফতরের আধিকারিকদের তিনি ঘটনাস্থলে যেতে বলেছেন। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। কোশিঘাট থেকে কিছুটা দূরে কেশরতলা ঘাটে ভাঙন রোধে কাজ শুরু হয়েছে।
ফি বছরই মালদার একাধিক জায়গায় গ্রামবাসীদের গ্রাস করে ভাঙন আতঙ্ক, এবারও তার অন্যথা হয়নি। বছরের পর বছর ঘুরে গেলেও তাদেরকে থাকতে হয় ভাঙন আতঙ্ক সঙ্গী করেই। গোটা পরিস্থিতি থেকে স্থায়ী কোনও সমাধানেরই আশায় তারা।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)