সহায়ক মূল্যে কৃষকদের থেকে আলু কিনছে রাজ্য
হুগলি: ওঠেনি চাষের খরচটুকুও। মাথায় হাত পড়েছিল আলু চাষিদের। এগিয়ে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। দিয়েছিলেন পাশে থাকার আশ্বাস। সেইমতো পদক্ষেপ নিল সরকার। ক্ষতির মুখে পড়া চাষীদের কাছ থেকে শুরু হল সহায়ক মূল্যে আলু কেনার কাজ। রবিবার হুগলির বলাগড়ে যান কলকাতার মিড ডে মিল বিভাগের আধিকারিকরা। সমবায় সমিতির মাধ্যমে চাষীদের কাছ থেকে আলু কেনা হয়। কৃষকদের বক্তব্য, আলু ফলানোর জন্য বস্তাপিছু ২৬০-২৬৫ টাকা খরচ হলেও, তাঁরা মাঠে প্রতি বস্তা ১৪০-১৫০ টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন। কিন্তু এখন সরকারি সহায়কমূল্য পাচ্ছেন বস্তাপ্রতি ২৩০ টাকা করে। সরকারের উদ্যোগকে প্রশংসা করে এক কৃষক জানালেন, বাকি আলু যদি সরকার যদি সহায়ক মূল্যে সবটা কিনে নেয়, তাহলে উপকার হবে। এবার বিপুল ফলনের জেরে, ফসলের উপযুক্ত দাম পাননি আলুচাষীরা। ক’দিন আগে এই ইস্যুতে কেন্দ্রকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছিলেন, নোটবন্দির জন্য আলুচাষিরা প্রবলেমের মধ্যে আছেন। বেশ কিছু কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। চাষিদের পাশে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, মিড ডে মিল সেন্টারের জন্য মাসে ২৮ হাজার মেট্রিক টন আলু লাগে। এই পরিমাণ আলু, সরাসরি চাষিদের থেকে, চার টাকা ষাট পয়সা কেজি দরে কিনবে সরকার। এর পাশাপাশি, আলুর রফতানির জন্যও সরকার দেবে ভর্তুকি। রেলে কেজি পিছু পঞ্চাশ পয়সা এবং জাহাজে কেজি পিছু এক টাকা করে। সরকারের এই উদ্যোগ থেকেই অক্সিজেন নেওয়ার চেষ্টা করছেন ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়া আলুচাষিরা।