এক্সপ্লোর
২০১১-এ ৩০, ২০১৫ সালে পড়ুয়ার সংখ্যা কমে একে নেমে আসে নদিয়ার এই স্কুলে, এখন সেখানে কী হচ্ছে জানেন

নদিয়া: শান্তিপুরের চৌগাছাপাড়ার ‘শান্তমণি প্রাথমিক বিদ্যাপীঠ’।১৯৭৪ সালে এই স্কুলের পথ চলা শুরু। ২০১১ সালে এখানে প্রধান শিক্ষক হিসেবে কাজে যোগ দেন সাধন দত্ত। সেই সময় পড়ুয়ার সংখ্যা ছিল ৩০ জন। কমতে কমতে ২০১৫ সালে সেটা একে নেমে আসে। এখনও সেটাই চলছে! খাতায়কলমে স্কুলের একমাত্র পড়ুয়া দুর্গা দাস। কিন্তু প্রতিবন্ধী এই ছাত্রী স্কুলে আসে না। ফলে, সকাল থেকে বিকেল, স্কুল আগলে বসে থাকেন প্রধান শিক্ষক! একা! সাধন দত্ত, প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, তিনি রোজ আসেন, কিছুই করার থাকে না, বিকেলে চলে যান। ছাত্রীর জন্য যে জামা জুতো আসে সেটা তার বাড়িতে গিয়ে দিয়ে আসা হয়। স্কুলে দুটি ক্লাসরুম। কিন্তু একজনও পড়ুয়া না আসায় একটি ঘর স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য বরাদ্দ করেছে শান্তিপুর পুরসভা। অন্য ঘরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা একা বসে থাকেন প্রধান শিক্ষক। কিন্তু পড়ুয়া সঙ্কটের কারণ কী? প্রধান শিক্ষককের দাবি, এখানে মেয়েদের সংখ্যা বেশি, ওদের বিয়ে হয়ে অন্যত্র চলে গিয়েছে। ফলে বংশবিস্তার হয়নি। কর্তৃপক্ষকে অনেকবার জানানো হয়েছে, কিন্তু কোনও ব্যবস্থাগ্রহণ হয়নি। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, যে সব স্কুলে ৫ বা তার কম পড়ুয়া আছে, তাদের নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে। ছাত্র কমার কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে। যদি পরিস্থিতির বদল না হয় তাহলে জানুয়ারি মাসে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের নিকটবর্তী স্কুলে বদলি করা হবে বলেও জানা গিয়েছে। সরকারের এই ভাবনার দ্রুত বাস্তবায়নের অপেক্ষায় শান্তিপুরের এই প্রধান শিক্ষক...
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও পড়ুন






















