Electronic Evidence : ইলেকট্রনিক এভিডেন্সে ভিত্তি করে প্রথমবার ডাকাতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত করল আদালত
বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি জানিয়েছেন, সাক্ষ্য গ্রহণের সময় পেশ করা হয় ইলেকট্রনিক এভিডেন্স
সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগণা : ৫ বছর আগে সল্টলেকের একটি ডাকাতির ঘটনায় ৬ দুষ্কৃতীকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। সূত্রের খবর, মামলায় বড় ভূমিকা নিয়েছে ইলেকট্রনিক এভিডেন্স। বিশেষ সরকারি আইনজীবীর দাবি, বৈদ্যুতিন প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে ডাকাতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত করার ঘটনা এই প্রথম।
২০১৬ সালের ৮ জুলাই রাতে বিধাননগর উত্তর থানার CE ব্লকের একশো ষাট নম্বর ফ্ল্যাটে দুঃসাহসিক ডাকাতি হয়। গৃহকর্তার দাবি, তাঁর অনুপস্থিতিতে স্ত্রী ও মেয়েদের হাত-পা বেঁধে বন্দুক ঠেকিয়ে সোনার গয়না, মোবাইল ফোন ও টাকা পয়সা লুঠ করা হয়। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ৬ দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশ। ৫ বছর মামলা চলার পর বুধবার তাদের সবাইকেই দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। বিশেষ সরকারি আইনজীবীর দাবি, মামলায় বড় ভূমিকা নিয়েছে ইলেকট্রনিক এভিডেন্স।
কীভাবে বৈদ্যুতিন প্রমাণ রায়দানের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিল? বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, 'ফোনের কললিস্ট ও আইএমইআই নম্বর ধরে তদন্ত, লুনা অ্যালগরিদম ও ২৪টি সাক্ষ্য নেওয়া হয়। সাক্ষ্য গ্রহণের সময় পেশ করা হয় ইলেকট্রনিক এভিডেন্স, এই ধরনের নথির ভিত্তিতে এই প্রথম কোনও ডাকাতির মামলায় দোষী করা হল।' তিনি জানান, উদ্ধার হওয়া ফোনগুলোর আইএমইআই নাম্বার এবং সিডিআরে পাওয়া আইএমইআই নম্বরের পার্থক্য দেখে আদালতে প্রমাণ করা হয় যে এই মোবাইলগুলো দুষ্কৃতীরাই ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছিল ডাকাতির সময়।
এমনিতেই বিভিন্ন সময়ে তদন্তকারীরা খোঁজ করে থাকেন বিভিন্ন ইলেকট্রনিক এভিডেন্সের। ফোনের কললিস্ট থেকে আইএমইআই নম্বর কাজে লাগিয়ে তদন্ত এগোনো তদন্তকারীরা। তবে ডাকাতির কোনও ঘটনায় সেই সাক্ষ্যপ্রমাণ গ্রাহ্য করে এভাবে শাস্তিঘোষণা নতুন পথ উন্মোচিত করবে বলেই মনে করছেন সরকারি কৌঁসুলি। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বৈদ্যুতিন প্রমাণের সাহায্যে রায়দানের সাহায্যে ভবিষ্যতে অনেক মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করা সম্ভব হবে বলেও প্রত্যাশা তাঁর। প্রযুক্তির ব্যবহারের সুবাদে দীর্ঘদিনের ঝুলে থাকা মামলার নিষ্পত্তিতে হাসি ফুটেছে অভিযোগকারীদের মুখেও।