পঞ্চায়েত ভোট ৩ দফায়, শেষ হবে ১৬ মে-র মধ্যে
কলকাতা: এসে গেল গ্রাম বাংলার ভোট। রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, মে মাসের প্রথম সপ্তাহেই শুরু হবে বাংলার ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন। ভোট হবে তিন দফায়। ১৬ মে রমজান মাস শুরু হচ্ছে। ওই দিনের মধ্যেই ভোটপ্রক্রিয়া শেষ হবে।
কমিশন সূত্রে খবর, মে মাসের প্রথম সপ্তাহে ভোট করার কথা জানিয়ে কমিশনকে চিঠি দিয়েছিল রাজ্য সরকার। তাতে সম্মতি জানিয়ে বুধবার রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়েছে কমিশন। সোমবার পুলিশ-প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার অমরেন্দ্র কুমার সিংহ। বৃহস্পতিবার তিনি রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে কথা বলেন। বিরোধী দলগুলির দাবি, ভোটের দিনক্ষণ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রশ্নে কোনো কথাই বলতে পারেননি কমিশনার। তিনি বলেছেন, তাঁর হাত-পা বাঁধা।
EXCLUSIVE: Panchayat Vote ???? to be held on the first week of May in 3 phases. Election process to be completed before May 16. No Central force needed,claims State Government. All party meeting at State Election Commission office today. #PanchayatPollsBengal2018 pic.twitter.com/vdPuUFGFC3
— Sange Suman (@IamSumanDe) March 29, 2018
সিপিএম আবার এক দফায় ভোট করানোর দাবি তুলেছে। সুজন চক্রবর্তী বলেন, একদফায় ভোট চাই। অন্তত 45 দিন দিতে হবে প্রচারে। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করতে হবে। রাজ্য সরকার সূত্রে অবশ্য দাবি, এক দফায় পঞ্চায়েত ভোট করলে প্রয়োজনীয় পুলিশ পাওয়া যাবে না। তাই ৩ দফায় ভোট করানোর সিদ্ধান্ত। মে মাসে ভোট হলে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিজেপি। দিলীপ ঘোষ বলেন, মে মাসে পঞ্চায়েত ভোট হলে মামলা করব। যা শুনে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, জনতার দরবার ছাড়া সব দরবারে যাও। আমরা জনতার দরবারে আছি। এখানেই মমতার কাজের খতিয়ান নিয়ে হাজির হব। কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতেও অনড় বিজেপি। কমিশনের সঙ্গে বৈঠক সেরে বেরিয়ে, তৃণমূল নেতা সুব্রত বক্সি এসব নিয়ে মুখ না খুললেও, কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন তৃণমূলের মহাসচিব। সব বাহিনী নিয়ে ২০১৬ সালে ভোট হয়েছিল। তাতেও আমাদের আসন ২০৭। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে, নির্ঘণ্ট ও কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে সংঘাতে জড়িয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য সরকার। জল গড়িয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত।