পাণ্ডবেশ্বরে মৃত যুবকে তৃণমূল সমর্থক দাবি করে বিজেপিকে কটাক্ষ, তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা
মৃতকে তৃণমূল সমর্থক বলে দাবি করে নাম না করে বিজেপির দিকে ইঙ্গিত স্থানীয় বিধায়কের।
মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, আসানসোল: পাণ্ডবেশ্বরে যুবকের মৃত্যু ঘিরে দানা বেঁধেছে রহস্য। মৃতকে তৃণমূল সমর্থক বলে দাবি করে নাম না করে বিজেপির দিকে ইঙ্গিত স্থানীয় বিধায়কের। মৃতের নাম দিলীপ তুড়ি। স্থানীয় সূত্রে খবর, মুরগির দোকানে কাজ করতেন বছর তেইশের যুবক। গতকাল রাতে পন্থনগর এলাকায় তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকরা ওই যুবককে মৃত ঘোষণা করেন। রাতে মৃতের বাড়িতে যান পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। তাঁর দাবি, এলাকা অশান্তি তৈরি করতেই দলীয় সমর্থককে খুন করা হয়েছে। বিজেপির প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
রাস্তার ধারে পড়ে রয়েছে চাপ চাপ রক্ত! এর কিছুটা দূরেই পড়েছিল যুবকের নিথর দেহ। পশ্চিম বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বরে যুবকের রহস্যমৃত্যু। মৃতের নাম দিলীপ তুড়ি(২৩)।
পাণ্ডবেশ্বর থানা এলাকার পান্থনগরের একটি মুরগির দোকানে কাজ করতেন তিনি। পরিবারের দাবি, প্রতিদিনই ১০টার মধ্যে বাড়ি ঢুকে যেতেন যুবক। কিন্তু, ১০টা বেজে গেলেও, বাড়ি না ফেরায়, শুরু হয় খোঁজাখুজি। এরপরই, বাড়ি থেকে কয়েকশ মিটার দূরে রাস্তার ধারে চাপ চাপ রক্ত পড়ে থাকতে দেখে সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের।
কয়েক পা এগোতেই উদ্ধার হয় যুবকের চটি। পাশেই দেখা যায়, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন তিনি। হাসপাতালে নিয়ে গেলে যুবকের মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা।যুবকের বুকে, ঘাড়ে ছিল ক্ষতচিহ্ন। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় বলে দাবি আত্মীয়দের।
মৃতের বোন মধু তুড়ি জানিয়েছেন, বাড়ি ফেরেনি যখন খোঁজাখুঁজি শুরু করি। কারোর সঙ্গে শত্রুতা ছিল না। শাস্তি চাই । আর এই মৃত্যুর পরই শুরু রাজনৈতিক তরজা। মৃতকে দলীয় কর্মী বলে খুনের অভিযোগে সরব হয়েছেন পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক। মঙ্গলবার রাতেই মৃতের বাড়িতে যান তিনি।
পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর কথায়, বিগত নির্বাচনে আমাদের হয়ে কাজ করেছেন। খুন করা হয়েছে পুলিশের কাছে দোষীদের চরম শাস্তির দাবি করছি।পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপি।
পাণ্ডবেশ্বরের বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির বলেন , যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক, খুনের রাজনীতি আমদানি হল, পাণ্ডবেশ্বরে গত ৫ বছরে খুন বন্ধ হয়ে গেছিল>>
যদিও এ বিষয়ে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (অভিষেক গুপ্ত) জানিয়েছেন, ঘটনায় রাজনীতির যোগসূত্র পাওয়া যায়নি। প্রাথমিক তদন্তে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের তথ্য উঠে এসেছে। সেই সংক্রান্ত বিষয়ে কিছু ঘটেছে কিনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।