দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়েও টিকা না মেলায় বিক্ষোভ, ঘেরাও ধূপগুড়ি হাসপাতালের স্বাস্থ্য আধিকারিক
এ দিন স্বাস্থ্য আধিকারিককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা।
রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন নেই! তা নিয়ে রাজ্য জুড়ে হয়রানির মুখে পড়েতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। ইতিমধ্যেই একাধিক জায়গায় দফায় দফায় বিক্ষোভের ছবি সামনে এসেছে। শহর থেকে শহরতলি। ছবিটা সর্বত্র একই। এবার ঘটনাস্থল ধূপগুড়ি। ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ না মেলায় বৃহস্পতিবার ধূপগুড়ি হাসপাতালে ব্য়াপক উত্তেজনা ছড়ায়। এ দিন স্বাস্থ্য আধিকারিককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার যাঁদের কোভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় ডোজের তারিখ ছিল তাঁরা হাসপাতালে আসেন। তবে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়েও কোভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় ডোজ না মেলায় বিক্ষোভ দেখান গ্রাহকরা। এমনকি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার ২৯০ জনকে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি প্রতিদিনই ভ্যাকসিনের দ্ধিতীয় ডোজ যে ভাবে আসছে সে ভাবেই দিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য সময় পেরিয়ে গেলেও অনেকেই এখনও ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ পাননি। সে কারণে নয়া পদক্ষেপ করেছে কলকাতা পুরসভা। জানানো হয়েছে, চলতি সপ্তাহের শুক্র-শনিবার কলকাতায় মিলবে শুধুমাত্র দ্বিতীয় ডোজ। কলকাতা পুরসভার সব স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও মেগা সেন্টারে মিলবে শুধু দ্বিতীয় ডোজ। ‘বহু মানুষের ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ বাকি, তাই সিদ্ধান্ত’ গত মঙ্গলবার এমনটাই জানিয়েছিলেন কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য অতীন ঘোষ।
ভ্যাকসিন সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ উঠছেই। কোথায়ও পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন নেই। কখনও লম্বা লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়েও চূড়ান্ত খারাপ পরিস্থিতির মুখে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। কোথাও ভ্যাকসিন মিললেও মিলছে না মেসেজ-সার্টিফিকেট। কোথাও আবার ভ্য়াকসিন নেওয়ার আগেই পৌঁছে যাচ্ছে সার্টিফিকেট। সবমিলিয়ে চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন অনেকেই।
গত মঙ্গলবারেই সামনে আসে একটি ঘটনা। জানা যায়, ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েও মেলেনি মেসেজ অথবা ভ্যাকসিনেশন সার্টিফিকেট। এরপরই ভ্যাকসিনের বৈধতা নিয়ে আশঙ্কায় পড়েন কসবার প্রৌঢ়া। বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ এনে থানার দ্বারস্থ হন তিনি। শেষে পুলিশের চাপে গাফিলতির অভিযোগ স্বীকার করে নেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।