Republic Day Tableau: বাংলার ট্যাবলোয় অনুমতি দিন, উল্টো পথে হেঁটে মোদিকে আর্জি তথাগতর
Republic Day Tableau: ট্যাবলো বিতর্কে বাংলা বিজেপি নেতারা যখন রাজ্যকেই দুষছেন, সেই সময় সোমবার সকালে বাংলার ট্যাবলোকে জায়গা দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন তথাগত।
কলকাতা: প্রজাতন্ত্র দিবসের ট্যাবলো (Republic Day Tableau) নিয়ে ফের কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে সংঘাত পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) চিঠিও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এ বার বিজেপি-র তরফেই রাজধানীতে বাংলার ট্যাবলোকে জায়গা দেওয়ার দাবি উঠল। দলের নেতা তথাগত রায় (Tathagata Roy) টুইটারে মোদির কাছে এমন আর্জি জানালেন।
ট্যাবলো বিতর্কে বাংলা বিজেপি নেতারা যখন রাজ্যকেই দুষছেন, সেই সময় সোমবার সকালে বাংলার ট্যাবলোকে জায়গা দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন তথাগত। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ, প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের ট্যাবলোকে অনুমতি দিন। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, যাঁর সংগঠন আইএনএ ব্রিটিশ সেনাকে নাড়িয়ে দিয়েছিল, তাঁর কীর্তি বর্ণিত রয়েছে ট্যাবলোয়’।
My appeal to the Prime Minister: please allow the West Bengal tableau in the Republic Day festivities. It features the exploits of Netaji Subhas Chandra Bose whose organization of the INA shook the faith of the British in their army and hastened their exit. @narendramodi
— Tathagata Roy (@tathagata2) January 17, 2022
পরপর দু’ বছর প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ট্যাবলোর প্রস্তাব খারিজ করল কেন্দ্র। এ বছর ২৬ জানুয়ারি উপলক্ষে দিল্লির অনুষ্ঠানে নেতাজি (Netaji Subhas Chandra Bose) এবং আইএনএ (INA) বিষয়ক ট্যাবলোর প্রস্তাব দিয়েছিল রাজ্য সরকার (West Bengal Government)। কিন্তু প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের (Ministry of Defense) তরফে সেই প্রস্তাব মৌখিকভাবে খারিজ করে দেওয়া হয়। এর আগে, গতবছর রাজ্য সরকারের কন্যাশ্রী (Kanyasree), সবুজ সাথী (Sabuj Sathi), জল ধরো, জল ভরো প্রকল্পের ট্যাবলো তুলে ধরার প্রস্তাবও নাকচ করে দেয় কেন্দ্র।
এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও লেখেন মমতা। তাতে তিনি লেখেন, ‘কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে আমি হতবাক এবং ব্যথিত। ট্যাবলো বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন? কারণ ব্যাখ্যা করেনি কেন্দ্র। বাংলার মানুষ কেন্দ্রীয় সরকারের আচরণে গভীরভাবে ব্যথিত’। মমতা আরও লেখেন, ‘ট্যাবলো বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অসম্মানিত করা হয়েছে।’
কিন্তু এ ই সংঘাত নিয়ে রাজ্যকেই কটাক্ষ করেন বিজেপি-র প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, ‘‘ট্যাবলো নিয়ে প্রতি বছর বিতর্ক বাঁধানো রাজ্য সরকারের অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে।’’ আসল সমস্যা থেকে মানুষকে বিভ্রান্ত করে রাখতেি এমন প্রচেষ্টা বলে অভিযোগ করেন দিলীপ। কিন্তু তাঁর উল্টো সুরই ধরা পড়ল তথাগতর গলায়।