শিশুদের ওয়ার্ডে চুরি, রোগীর আত্মীয়কে মাদক খাইয়ে লুঠ মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে
জোড়া অভিযোগ উঠেছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
অলোক সাঁতরা, পশ্চিম মেদিনীপুর: মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে জোড়া চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। হাসপাতালে শিশুদের জন্য নির্মীয়মাণ কোভিড ওয়ার্ড থেকে অক্সিজেনের পাইপলাইনসহ একাধিক সামগ্রী চুরির অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে হাসপাতাল চত্ত্বরে এক রোগীর আত্মীয়কে মাদক খাইয়ে লুঠের অভিযোগ উঠেছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।
একদিকে শিশুদের জন্য নির্মীয়মাণ কোভিড ওয়ার্ডে অক্সিজেনের পাইপলাইনসহ একাধিক সামগ্রী চুরির অভিযোগ। অন্যদিকে মাদক খাইয়ে হাসপাতালে প্রতীক্ষারত রোগীর পরিবারের মোবাইল সহ টাকা চুরির অভিযোগ। জোড়া অভিযোগ উঠেছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের বেশি আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই কারণেই প্রায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শিশুদের কোভিড ওয়ার্ড তৈরির কাজ। অভিযোগ, বুধবার রাতে সেখান থেকেই চুরি হয়ে যায় অক্সিজেন সরবরাহের পাইপলাইন সহ একাধিক সামগ্রী।
এ প্রসঙ্গে, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের মুখপাত্র সঞ্জীব গোস্বামী জানিয়েছেন, 'এখানে হঠাৎ করেই এই চুরির ঘটনা ঘটেছে। যারা কাজ করছে মনে হয় তারা জড়িত আছে। আমরা সিসি ফুটেজ খতিয়ে দেখছি। মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অন্যদিকে, শুক্রবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি এক রোগীর আত্মীয়কে মাদক মেশানো পানীয় খাইয়ে সর্বস্ব লুঠের অভিযোগ উঠেছে।
পশ্চিম মেদিনীপুর সবং-এর বাসিন্দা হৃষিকেশ ওঝা জানিয়েছেন, 'আমার রোগী এখানে ভর্তি আছে বলে ওই লোকটা আমার সঙ্গে ভাব জমায়। তারপর গল্প করতে করতে আমাকে গ্লুকন ডি-এর নামে কিছু একটা খাওয়ায়। তারপরই আমার আর হুঁশ ছিল না। সকালে আমাকে ডাকাডাকি তোলা হলে দেখি মোবাইল আর টাকা কিছুই নেই। ওই লোকটিও হাওয়া।'
সঞ্জয় চক্রবর্তী নামে আরও এক বাসিন্দার কথায়, 'এরকম এখানে প্রায়ই হয়। আমার বন্ধুরও জিনিসপত্র এখানে চুরি হয়েছে। কোনও নিরাপত্তা নেই। অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি।' হাসপাতালে নিরাপক্ষারক্ষী থাকা সত্বেও কী করে ঘটল এমন ঘটনা? প্রশ্ন উঠছে।
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের মুখপাত্র সঞ্জীব গোস্বামী আরও জানিয়েছেন, হাসপাতালে নিরাপত্তা রক্ষী আছে। কিন্তু তারপরেও কীভাবে ঘটনা ঘটলো জানি না। সিসি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হবে। সব মিলিয়ে প্রশ্নের মুখে মেদিনীপুর মেডিক্যাল হাসপাতালের নিরাপত্তা।