সন্দেশখালি ধর্ষণকাণ্ড: ২ সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে তদন্ত-রিপোর্ট পেশের নির্দেশ হাইকোর্টের
কলকাতা: বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ। ভাঙা কাচের বোতল, গাছের ডাল ও কাঁটা ঢুকিয়ে ছিন্নভিন্ন করে দেওয়া শরীর! ২৫ দিন হাসপাতালে লড়াই করার পর মৃত্যুর কাছে হার ৬১ বছরের প্রৌঢ়ার। কিন্তু কোথায় সেই ঘটনার মেডিক্যাল রিপোর্ট? সন্দেশখালি ধর্ষণকাণ্ডে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পুলিশ। ৪ জুলাই রাতের ওই ঘটনায় ৮ জুলাই পুলিশ গ্রেফতার করেছে একজনকে। ১ অগাষ্ট মারা গিয়েছেন প্রৌঢ়া। তারপরই পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন আইনজীবী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল। তাঁর দাবি, পুলিশ গণধর্ষণের ঘটনাকে ধর্ষণ বলে চালাতে চাইছে। শুক্রবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্রে ও বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়। শুনানিতে সরকারি আইনজীবী বলেন, পুলিশি রিপোর্ট অনুযায়ী এটি ধর্ণষের ঘটনা। নির্যাতিতা এক অভিযুক্তের কথাই বলেছেন। তাকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি জানতে চান, ঘটনার মেডিক্যাল রিপোর্ট কোথায়? কী চিকিৎসা হয়েছে মহিলার? সরকারি আইনজীবী উত্তরে বলেন, মেডিক্যাল রিপোর্ট আমাদের কাছে নেই। চিকিৎসকদের কাছে আছে। এই উত্তর শুনে ক্ষোভের সঙ্গে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বলেন, ঘটনার পর একমাস কেটে গেলেও এখনও মেডিক্যাল রিপোর্ট নেই কেন? আপনারা যখন এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিলেন, তখন নিশ্চয় কোনও মেডিক্যাল রিপোর্টের ভিত্তিতেই করেছেন। সেই রিপোর্ট কোথায়? এরপর সরকারি আইজীবী চিকিৎসা সংক্রান্ত কিছু কাগজ আদালতে পেশ করেন। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্রে নির্দেশ দেন, ২ সপ্তাহের মধ্যে তদন্তের অগ্রগতি হলফনামা আকারে পেশ করতে হবে পুলিশকে। পুলিশের হলফনামা আদালতে জমা পড়ার পর হবে পরবর্তী শুনানি।