মাত্রাতিরিক্ত নম্বর পাঠিয়েছে বেশ কিছু স্কুল, সংশোধন করতে বাধ্য হয়েছে সংসদ
বৃহস্পতিবার করোনা আবহেই প্রকাশিত হল ২০২১-এর উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল। বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টের সময়ে সাংবাদিক বৈঠকে ফলাফলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেন মহুয়া দাস।
কলকাতা: 'কিছু কিছু বিদ্যালয় ছাত্র-ছাত্রীদের প্রাপ্ত নম্বর এতটাই ত্রুটিপূর্ণ পাঠিয়েছে যে তা মাত্রাতিরিক্ত হয়ে গিয়েছে। যা সংশোধনযোগ্য মনে করে নম্বরের পরিবর্তন করেছে সংসদ।' বৃহস্পতিবার উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে এমনটাই জানিয়েছেন সভাপতি মহুয়া দাস।
বৃহস্পতিবার করোনা আবহেই প্রকাশিত হল ২০২১- এর উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল। বৃহস্পতিবার দুপুর ৩ টের সময়ে সাংবাদিক বৈঠকে ফলাফলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেন মহুয়া দাস। করোনা আবহে মাধ্যমিকের মতো এ বছর বাতিল হয়েছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাও। বিগত পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতেই বিশেষ ফর্মুলায় হয়েছে মূল্যায়ন। তবে এ ক্ষেত্রে কিছু ত্রুটির কথাও উল্লেখ করেছেন সভাপতি।
এ দিন বৈঠকে মহুয়া দাস জানান, সংসদের তরফে প্রায় ৪ বার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একাদশের ফলাফল পাঠানোর কথা জানানো হয়েছিল। অভিযোগ, ২০২১-সালের প্রথমার্ধ হয়ে গেলেও বেশ কিছু স্কুল সংসদে কোনও রেজাল্টই পাঠায়নি। পরীক্ষা বাতিল ঘোষিত হওয়ার পর শেষ মুহূর্তে তড়িঘড়ি করে রেজাল্ট জমা দিয়েছে তারা।
সংসদের বক্তব্য অনুযায়ী, ২০২১-এর জুনের শেষ দিকে অর্থাৎ প্রায় এক বছর পরে ২০২০ সালের রেজাল্ট সংসদে জমা পড়েছে। এ সব স্কুলের পাঠানো রেজাল্টে বেশ কিছু ত্রুটি ও অসংগতি রয়েছে। মহুয়া দাস আরও জানিয়েছেন, কিছু কিছু বিদ্যালয় এতটাই ত্রুটিপূর্ণ নম্বর পাঠিয়েছে যে তা মাত্রাতিরিক্ত হয়ে গিয়েছে এবং তা সংশোধনযোগ্য মনে করে নম্বরের পরিবর্তন করেছে সংসদ।
জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়গুলির ফলাফল আটকানোর সিদ্ধান্ত নিয়েও চূড়ান্ত পর্যায়ে তা পরিবর্তিত হয়। সবদিক বিবেচনা করে, ছাত্র-ছাত্রীদের সার্বিক কল্য়ানের কথা ভেবে সামগ্রিকভাবে সব ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিচার দিতে এবং তাঁদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে এই ক্ষেত্রে বিশেষ পর্যবেক্ষণ করেছে সংসদ এবং তরপর ফল প্রকাশ করা হয়েছে। যদিও যে সব বিদ্যালয় সঠিক সময়ের মধ্যে অর্থাৎ জুনের মধ্যে ২০২০ সালের একাদশের ফলাফল সংসদে জমা দিয়েছে, সেই বিদ্যালয়ের প্রধানদের সাধুবাত ও ধন্যবাদ জানানো হয়েছে সংসদের তরফে।